ফাইল চিত্র।
অন্তঃসত্ত্বা বলেই কাউকে জামিন দিতে হবে, এমন যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলে সফুরা জ়ারগারের মামলায় সওয়াল করল দিল্লি পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ১০ বছরে তিহাড় জেলে ৩৯ জন মহিলা সন্তান প্রসব করেছেন। তবে সফুরার আর্জি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে এক দিন সময় চান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা ও অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আমন লেখি। সফুরার আইনজীবী নিত্যা রামকৃষ্ণন জানান, এতে তাঁর আপত্তি নেই। তার পরে মেহতা ও লেখিকে এক দিন সময় দেয় আদালত। আগামিকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে।
রাস্তা অবরোধ করে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ও দিল্লি হিংসার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১০ এপ্রিল বছর সাতাশের সফুরাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জামিয়া মিলিয়ার ওই গবেষকের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়। স্বাস্থ্যজনিত কারণে জামিন চাইলেও তিন বার তাঁর আর্জি খারিজ করে দিল্লির পাটিয়ালা হাউস কোর্ট। আপাতত দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি আছেন তিনি।
সফুরাকে বন্দি করে রাখা আন্তর্জাতিক আইন-বিরোধী কাজ বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছে মার্কিন আইনজীবী সংগঠনও।
পাটিয়ালা হাউস কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে আর্জি জানান সফুরার আইনজীবী। আজ সেই মামলাতেই রিপোর্ট জমা দিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণে অল্প দিনেই কি রাশিয়াকে ছোঁবে ভারত
পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘জঘন্য অপরাধে জেলবন্দি কেউ গর্ভবতী হলেই তাঁকে বিশেষ ছাড় দিতে হবে, এমন কথা আইনে বলা নেই। তাঁদের উপযুক্ত সুরক্ষা ও চিকিৎসার সুবিধে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তিহাড় জেলের মধ্যে প্রসবের উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে। সফুরাকে আলাদা সেলে রাখা হয়েছে। তাঁকে পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। আগামিকাল ফের এই মামলার শুনানি হবে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছে, সফুরা উস্কানিমূলক ভাষণ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ানো ও গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন: জাপানি লোগো কেন্দ্রের সাইটে! হ্যাকিং-আশঙ্কা
দিল্লি পুলিশের এই রিপোর্টের পরে বিভিন্ন শিবির থেকে ফের প্রশ্ন উঠেছে, কপিল মিশ্র-সহ বিভিন্ন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধেও দিল্লি সংঘর্ষের আগে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করা হয়নি কেন?
অন্য দিকে দিল্লি সংঘর্ষের মামলায় এ দিন জামিন পেয়েছেন ফয়সল ফারুক নামে দিল্লির একটি স্কুলের মালিক। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিটে কোনও প্রমাণ নেই বলে জানিয়েছে আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy