Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Delhi Violence

‘ক্ষতিগ্রস্তদের স্বার্থে’ মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ কেজরীবালের

রামলীলা ময়দানে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কেজরীবাল। যদিও মোদী আসেননি। কিন্তু টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।

মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ কেজরীবালের। ছবি: পিটিআই।

মোদীর সঙ্গে সাক্ষাত্ কেজরীবালের। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ মার্চ ২০২০ ০৪:২৬
Share: Save:

গোষ্ঠী-সংঘর্ষে ঘরছাড়াদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রের কাছে সাহায্য চাইলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সংসদে দেখা করে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য দেওয়ার প্রশ্নে একযোগে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন আপের শীর্ষ নেতা। তৃতীয় বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে আজই ছিল মোদীর সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাৎ।

রামলীলা ময়দানে শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কেজরীবাল। যদিও মোদী আসেননি। কিন্তু টুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। ধন্যবাদ জানিয়ে পাল্টা টুইট করেছিলেন কেজরীবাল। আপ সূত্রের বক্তব্য, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার শুরু থেকেই কেন্দ্রের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক রেখে চলার পক্ষপাতী কেজরীবাল। সেই কারণে দায়িত্ব নিয়েই প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আজ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি। আপ জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরীবাল। শেষ পর্যন্ত আজকের তারিখে বৈঠকের দিন ঠিক হয়।

বেলা ১১টা নাগাদ সংসদে আসেন কেজরী। সোজা চলে যান মোদীর ঘরে। আধ ঘণ্টার বৈঠক হয়। মূলত কথা হয় দিল্লির সংঘর্ষ নিয়ে। ভবিষ্যতে যাতে এমন সংঘর্ষ না হয়, তা দেখতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন কেজরী। বৈঠক শেষে বেরিয়ে এসে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘দল নির্বিশেষে সংঘর্ষের নেপথ্যে যারা রয়েছে, তাদের গ্রেফতারের আবেদন জানানো হয়েছে। হিংসার পুনরাবৃত্তি রুখতেও অনুরোধ করা হয়েছে।’’ আপ সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দিল্লি সরকারের কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া, বাসস্থানের পাশাপাশি আইনি কাগজপত্রও বানিয়ে দেওয়া। কেজরী বিলক্ষণ জানেন, ওই কাজ কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া তাঁর পক্ষে করা অসম্ভব। সেই কারণে সার্বিক পুনর্বাসনের প্রশ্নে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়ে রাখলেন তিনি।

দিল্লিতে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ চলাকালীন কেজরীবাল প্রশাসনের ভূমিকা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীন পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা— দুই নিয়েই বারবার প্রশ্ন উঠেছিল। আজ কিছুটা অবাক করেই দিল্লি পুলিশের প্রশংসা করেন কেজরীবাল। বলেন, ‘‘গত রবিবার রাতে দিল্লিতে সংঘর্ষের গুজব ছড়িয়ে পড়ার পরে যে ভাবে দিল্লি পুলিশ পরিস্থিতি সামলায়, তা প্রশংসনীয়।’’ এর সঙ্গেই অবশ্য কেজরী যোগ করেন, ‘‘গোষ্ঠী সংঘর্ষ চলাকালীন দিল্লি পুলিশ যদি এ ভাবে তৎপর হত, তা হলে অনেক লোকের প্রাণ বাঁচানো যেত।’’ আজকের বৈঠকে দিল্লি তথা জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে করোনাভাইরাস রোখার প্রশ্নেও মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Violence Arvind Kejriwal Narendra Modi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE