নোটবন্দি নিয়ে জমে উঠল নরেন্দ্র মোদী ও রাহুল গাঁধীর তরজা।
ছত্তীসগঢ়ে দ্বিতীয় দফার ভোটের প্রচারে গিয়ে এ দিন প্রথমে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীকে নিশানা করেন মোদী। নোটবন্দিতে কংগ্রেসের সমালোচনার কথা তুলে বিলাসপুরের সভায় প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, দুর্নীতির মামলায় জামিন নিতে হয়েছে যাঁদের, তাঁরাই এখন সততার সার্টিফিকেট বিলি করছেন। মোদীর দাবি, নোটবন্দির কারণেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভুয়ো কোম্পানিগুলি। এর পরেই প্রধানমন্ত্রীকে পাল্টা আক্রমণ করেন রাহুল। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘নোটবন্দি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ দাবি, ভুয়ো কোম্পানি বন্ধ। ঘটনা হল, নোটবন্দির ট্র্যাজেডির পরে যে সব ভুয়ো সংস্থার কথা সামনে এল, সেগুলি হল, জয় শাহের টেম্পল এন্টারপ্রাইসেস, পীযূষ গয়ালের ফ্ল্যাশনেট আর অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স এয়ারপোর্টস।’’ শেষে মোদীর নাম না করে রাহুলের কটাক্ষ, ‘‘চোরই চোরকে চেনে।’’
ছত্তীসগঢ়, মধ্যপ্রদেশ কিংবা রাজস্থান— যেখানেই ভোট প্রচারে গিয়েছেন রাহুল, তুলে ধরেছেন নোটবন্দির কারণে দেশের অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের কথা। গত সপ্তাহে নোটবন্দির সিদ্ধান্তের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে তিনি অভিযোগ করেন, মোদীর এই সিদ্ধান্ত পাহাড়প্রমাণ নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছু নয়। যা থেকে দেশের অর্থনীতি এখনও মুক্তি পায়নি। এই পদক্ষেপের পিছনে কালো টাকাকে সাদা করার দুর্নীতি রয়েছে বলেও অভিযোগ আনে কংগ্রেস।
বিলাসপুরের জনসভায় আজ রাহুলের অভিযোগের জবাব দিয়েছেন মোদী। গাঁধী পরিবারকে আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘মা ও ছেলের জুটি, যাঁরা টাকা নয়ছয়ের মামলায় জামিন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁরাই এখন অন্যদের সততার সার্টিফিকেট বিলি করছেন। নোটবন্দির হিসেব চাইছেন।’’ সনিয়া ও রাহুলের নাম না করেই মোদীর অভিযোগ, ‘‘নোটবন্দির সিদ্ধান্তের জন্যই তো আপনাদের জামিন নিতে হল। এটা আপনারা ভুলে যাচ্ছেন কী ভাবে?’’
‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ পত্রিকার টাকার লেনদেন নিয়ে সনিয়া ও রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন বিজেপি নেতা ও সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সেই মামলাতেই জামিন মিলেছে সনিয়া ও রাহুলের। সেই প্রসঙ্গই আজ ভোটের সভায় টেনে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, ‘‘মিথ্যের শাহেনশার থেকে আর কি অভিযোগ শুনব? কংগ্রেস ব্রিটিশকে ভয় পায়নি, মোদী তো কোন ছার।’’
নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে মোদী বলেন, ‘‘জামিন নেওয়া কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা আমাদের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। বলছেন মানুষের স্বার্থে আমরা কি করেছি? এ সব কথা আমাদের আঘাত দিচ্ছে। ওঁরা নোটবন্দি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। যে সিদ্ধান্তের ফলে অনেক ভুয়ো কোম্পানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে।’’
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ এনেও সরব হন মোদী। বলেন, ‘‘ওদের রাজনীতি একটি পরিবারে শুরু হয়ে সেখানেই শেষ হয়ে যায়।’’ রাহুলের নাম না করে ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারের প্রসঙ্গ টেনে মোদীর কটাক্ষ, ‘‘ভোটের ইস্তাহারে ‘নামদার’-কে ১৫০ বার ‘স্যর’ বলা হয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, কংগ্রেস ওঁকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করে, রাজ্যের মানুষকে নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy