ছবি: পিটিআই।
রাজ্যের ১২টি জেলায় অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিনড্রোমের সংক্রমণ অব্যাহত। সব চেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে মুজফ্ফরপুর ও সংলগ্ন এলাকায়। গত ১২ ঘন্টায় আরও ছ’টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মুজফ্ফরপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঁচ জন এবং কেজরীবাল হাসপাতালে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যে ৬৮টি শিশুর মৃত্যু হল। যদিও বেসরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি করা হচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আরও ৮০ জন। তাদের মধ্যে ৪৪ জন শিশুকে সদ্য ভর্তি করা হয়েছে।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী কালমুজফ্ফরপুরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। হাজির থাকবেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডেও। হর্ষ বর্ধন ফোনে বলেন, “ইতিমধ্যেই আমি বিহারের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দু’টি বৈঠক করেছি। সমস্ত রকম সাহায্য করা হচ্ছে। আমাদের পাঠানো চিকিৎসকের দল হাসপাতাল ঘুরে দেখেছেন। তাঁরা রাজ্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দিয়েছেন।” এর আগে গতকাল রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মঙ্গল পাণ্ডে মুজফ্ফরপুরের হাসপাতাল ঘুরে দেখেন।
তবে এর মধ্যেই শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। আরজেডির রাজ্য সভাপতি রামচন্দ্র পূর্বে এ দিন হাসপাতালে যান। পরে তিনি বলেন, “প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। নীতীশ কুমার এক বার নিজে ঘুরে দেখলে বুঝতেন।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘গরিব শিশুদের এ ভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার কারণ কী?”
কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার পর আজই পটনায় আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি নিত্যানন্দ রায়। তবে শিশুমৃত্যুর জেরে সমস্ত স্বাগত-সংবর্ধনা অনুষ্ঠান তিনি বাতিল করেছেন। কোনও ফুল, মালা নিতেও অস্বীকার করেন। আগামী দু’সপ্তাহ রাজ্য বিজেপি কোনও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান করবে না বলেও ঘোষণা করেন তিনি। এ দিন পটনা থেকে সোজা মুজফ্ফরপুরের হাসপাতালে যান নিত্যানন্দ। সেখানে অসুস্থ শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার সমস্ত সাহায্য করবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
বিহারের ১২টি জেলার ২২২টি ব্লক অ্যাকিউট এনসেফেলাইটিস সিন্ড্রোমে আক্রান্ত। মুজফ্ফরপুর ও লাগোয়া এলাকার অপরিণত লিচু খেয়েও ওই শিশুরা আক্রান্ত হতে পারে বলে অনেকেই মনে করছেন। অসুস্থদের শরীরে আচমকা শর্করার মাত্রা কমে যাচ্ছে। গায়ের তাপমাত্রাও অত্যাধিক বেশি রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy