মুখ্যমন্ত্রীর সামনে লিখছে প্রলয়। আগরতলা। নিজস্ব চিত্র।
জন্ম থেকেই হাত দু’টি অপরিণত। আঙুল নেই কোনওটিতেই। এই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পায়ে লিখে মাধ্যমিক পাশ করেছে ত্রিপুরার প্রলয় দে। লেটার নম্বর পেয়েছে বাংলা ও ইংরেজিতে। পরিবার আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নয় কোনও দিনই। তার বাবা দিন মজুরের কাজ করতেন। মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার প্রলয়ের উচ্চশিক্ষার সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে।
গোমতী জেলার উদয়পুর মহকুমার মাতাবাড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা সকলেই খুশি প্রিয় প্রলয়ের সাফল্যে। তবে খুশি নয় প্রলয় নিজে। মনে করছে, হয়তো আরও কিছু বেশি নম্বর পেতে পারত সে। তাই খাতা পুনর্মূল্যায়ন করার জন্যে ত্রিপুরা বোর্ড এর কাছে আবেদন করবে বলে জানিয়েছে।
এ বার তো আগামী দিনের পড়াশোনার খরচ নিয়ে ভাবতে হবে না। কী পড়বে সে? প্রলয় জানাচ্ছে, কলা শাখায় পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে অধ্যাপক হতে চায়। ছোটবেলা থেকেই প্রলয় পায়ে লেখার চেষ্টা করে। শুধু লেখা নয়, পা দিয়ে ছবিও আঁকে। পায়ে আঁকা তার ছবি পুরস্কারও পেয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়।
আগামী দিনে সমাজে মাথা উঁচু করে থাকতে চায় প্রলয়। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার তাঁর বাসভবনে প্রলয় ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সম্প্রতি। প্রলয়ের সঙ্গে আলাপ করে, তার মনের জোর দেখে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘শারীরিক প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও যে জীবনে কিছু করা যায়, তা প্রমাণ করেছে এই ছেলে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর মতে, প্রলয়কে দেখে সেই শিক্ষা নিতে পারে রাজ্যের সব ছাত্রছাত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy