নরেন্দ্র মোদী।
মধ্যরাতে নাগরিকত্ব বিল পাশের সময় উপস্থিত থাকলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ অবশ্য অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের আসন সংরক্ষণ তুলে দেওয়া সংক্রান্ত বিল পাশের সময় হাজির থাকলেন। প্রশ্ন উঠেছে এখানেই।
গত কাল লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল নিয়ে ভোটাভুটি হতে মাঝরাত গড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সকালে গিয়েছিলেন ঝাড়খণ্ডে, ভোটপ্রচারে। কিন্তু বিকালের মধ্যেই দিল্লি ফিরে আসেন। ঝাড়খণ্ডে ছিলেন রাহুল গাঁধীও। তিনি অবশ্য রাত সোয়া এগারোটা নাগাদ ভোটাভুটির ঠিক আগে লোকসভায় চলে আসেন। কিন্তু মোদী আসেননি। যদিও ভোটাভুটিতে বিল পাশের পরেই তিনি টুইট করে সকলকে অভিনন্দন জানান। বিলের বিষয়ে সহজ করে সব কিছু বোঝানোর জন্য বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও অভিনন্দন জানান। রাত সোয়া একটা পর্যন্ত সংসদ ভবনে নিজের ঘরেই নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন অমিত শাহ। বেরিয়েই প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রশ্ন হল, গোটা পরিস্থিতির উপর লাগাতার নজর রেখেও কেন সংসদে এলেন না প্রধানমন্ত্রী? বিজেপির নেতাদের কাছে তার কোনও উত্তর নেই। তাঁরা শুধু এটুকু জানেন, প্রধানমন্ত্রী ঝাড়খণ্ড থেকে ফিরলে যাতে সংসদে আলোচনা শুরু হয়, সে কারণেই সকালে বিল পেশ করেও অপেক্ষা করা হয়েছিল। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘হতে পারে এই বিল নিয়ে যেহেতু বিতর্ক তৈরি হয়েছে, সে কারণে সরাসরি এর মুখ হতে চাইলেন না মোদী। গোটাটাই ঠেলে দিলেন অমিত শাহের ঘাড়ে।’’ কাল রাতেই আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রক থেকে এই বিলের সমালোচনা করা হয়েছে। সে দেশের একটি স্বশাসিত সংস্থা অমিত শাহের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারিরও প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে ছাড় দিলেও বিজেপির জনা চল্লিশ সাংসদ গত কাল সকালে বিল পেশের সময় ভোটাভুটিতে হাজির ছিলেন না। দল হিসেব করেছে, এর মধ্যে জনাকয়েক মন্ত্রীও রয়েছেন। হুইপ সত্ত্বেও কেন তাঁরা সকালে উপস্থিত থাকলেন না, তার জবাব চাওয়া হচ্ছে। লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলিতে তফসিলি জাতি ও জনজাতিদের জন্য আসন সংরক্ষণের মেয়াদ আরও ১০ বছরের জন্য বাড়ানো হল। মঙ্গলবার এ নিয়ে সর্বসম্মত ভাবে একটি সংবিধান সংশোধনী পাশ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy