ছবি: ফাইল চিত্র।
‘সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নিয়ে সব মহলের সমালোচনার মুখে পিছু হটল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
দু’বছর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের জমিতে থাকা জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারতীয় সেনা। সেই দিনটি তুলে ধরতে এ বছর ২৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস’ পালনের জন্য গতকাল নির্দেশিকা জারি করে ইউজিসি। বিরোধীদের পাশাপাশি ওই নির্দেশিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ জানান শিক্ষাবিদদের বড় অংশ। তার পরেই পিছু হটে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর আজ বলেন, ‘‘ইউজিসি-র নির্দেশিকা বাধ্যতামূলক নয়। পরামর্শমূলক। যারা পালন করতে চাইবে, তারা করবে।’’ পাল্টা ইউজিসি-র ভূমিকার সমালোচনা করে কংগ্রেসের কপিল সিব্বলের কটাক্ষ, ‘‘৮ নভেম্বর সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস পালন করার সাহস দেখাক ইউজিসি!’’ ২০১৬-র ৮ নভেম্বর নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষণা করে মোদীর দাবি ছিল, এটা কালো টাকার উপরে সার্জিকাল স্ট্রাইক। কিন্তু আদতে সেই সিদ্ধান্তে দেশীয় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, কালো টাকার বাড়বাড়ন্তও কমেনি বলে মত অর্থ মন্ত্রকের একাংশের। দু’বছর পরেও সেই সিদ্ধান্তের নেতিবাচক প্রভাব রয়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এ দিন সেই খোঁচাই দেন সিব্বল।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সার্জিকাল স্ট্রাইক দিবস পালনের কারণ বোঝাতে গিয়ে জাভড়েকরের দাবি, ‘‘বহু ছাত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ওই দিনটি পালন করতে চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে। এর পিছনে কোনও রাজনীতি নেই।’’ বিরোধীরা বলছেন, ভোটের আগে সব ব্যর্থতা ঢাকা দিতেই উগ্র জাতীয়তাবাদ উস্কে দিতে চাইছে মোদী সরকার। প্রশ্নের মুখে ইউজিসি-ও। সিব্বলের কথায়, ‘‘স্বাধীনতার পরে সম্ভবত প্রথম বার ইউজিসি এমন নির্দেশিকা দিল। এর অর্থই হল, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির স্বাধীনতাকে খর্ব করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy