বিহারের কুখ্যাত ‘গ্যাং অব ওয়াসেপুরের’ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তবরেজ আলমকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। পটনার কোতোয়ালি থানার সামনে মসজিদ থেকে বেরোতেই গুলি করে খুন করা হয় প্রাক্তন সাংসদ সাহাবুদ্দিনের ঘনিষ্ঠ এই শার্প শুটারকে। আততায়ীরা এসেছিল মোটরবাইকে। প্রকাশ ঝায়ের ‘অপহরণ’ ছবিতে তার চরিত্রটি ছিল। আর তারই অপরাধী দলের নামে ছবি তৈরি করেছেন অনুরাগ কাশ্যপ। তবে গত কাল বিকেলে কে বা কারা তাঁকে হত্যা করে করেছে, ২৪ ঘণ্টা পরেও তা নিয়ে পুলিশ ধন্দে। তবরেজের স্ত্রী সামা পরভিন ছ’জনের নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের মধ্যে বাহুবলী ডব্লু মুখিয়ার নাম রয়েছে। বিহার, ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশে বেশ কিছু হত্যা ও অপহরণের মামলা ছিল তবরেজের বিরুদ্ধে।
জহনাবাদের তবরেজ প্রথম খুন করে ১৬ বছর বয়সে। এর পরে পুরো দস্তুর অপরাধ জগতে ঢুকে পরে। ২০০১ সালে পটনার কোতোয়ালি থানার সামনে থেকে চিকিৎসক রমেশ চন্দ্রের অপহরণে তবরেজের নাম উঠে আসে। ২০০২-এ ঝাড়খণ্ডের নিরসার বিধায়ককে হত্যার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের মাফিয়া ডন ব্রজেশ সিংহের কথায় নিরসার বিধায়ককে তবরেজ দিনেদুপুরে গুলি করে খুন করেছিল। ওই বছরই সে নিজের দলের নাম ‘গ্যাং অব ওয়াসেপুর’। ২০০৩-এ অশ্বিনী গুপ্তাকে অপহরণ করে টাকা নেয় সে। মাঝে প্রাক্তন সাংসদ সাহাবুদ্দিনের হয়ে সে বেশ কয়েকটি খুন করে বলে অভিযোগ।
সাহাবুদ্দিন দিল্লির তিহাড় জেলে যাওয়ার পর গত বছর জহানাবাদ ছেড়ে পটনায় চলে আসে তবরেজ। ফ্রেজার রোড এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে পরিচয় লুকিয়ে পরিবারের সঙ্গে থাকত। পটনায় বিতর্কিত জমি দখলের কাজে সক্রিয় হয় সে। দিন কয়েক আগে পটনার ফুলবাড়ি এলাকায় এক জমি দখলের কাজে ডব্লু মুখিয়া নামে এক বাহুবলীকে হুমকি দিয়েছিল তবরেজ। তার পরেই গত কাল মসজিদ থেকে নমাজ পরে বার হওয়ার সময়ে দুষ্কৃতীরা মোটরবাইক চেপে এসে থানার সামনেই তাকে গুলি করে। প্রথমে গুলিতে মাটিতে পরে যায় সে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরে আরও তিনটি গুলি করা হয়। পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy