শীলা দীক্ষিত ও রাহুল গাঁধী। ফাইল চিত্র।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দিল্লি কংগ্রেসের দায়িত্ব নিয়েই শাসক আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট হওয়ার সম্ভাবনাটি রাহুল গাঁধীর উপর ছেড়ে দিলেন শীলা দীক্ষিত। শুরুতে জোটের বিষয়টি মসৃণ ভাবে এগোলেও, আপ দিল্লিতে আসন ছাড়ার পরিবর্তে পঞ্জাবে সমসংখ্যক আসন চেয়ে বসে। অরবিন্দ কেজরীবালের ওই মনোভাব দেখেই বেঁকে বসেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতৃত্বকে পঞ্জাব কংগ্রেস জানিয়ে দেয়, কোনও ভাবেই আপকে ওই রাজ্যে টিকিট দেওয়া যাবে না।
শারীরিক কারণে অজয় মাকেন ইস্তফা দেওয়ায় আজ দিল্লি কংগ্রেসের দায়িত্ব নেন দিল্লিতে তিন বারের মুখ্যমন্ত্রী বর্ষীয়ান শীলা। কেজরীবালের দলের সঙ্গে জোটের বিরোধী ছিলেন মাকেন। শীলা দায়িত্বে ফেরায় স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, দু’দলের জোট প্রক্রিয়া এ বার কি মসৃণ হবে?
জবাবে সরাসরি কিছু বলেননি শীলা। বলেন, ‘‘সম্প্রতি যে ভাবে রাজীব গাঁধীর ভারতরত্ন ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আপ বিধায়কেরা বিধানসভায় এনেছিল তাতে দল ক্ষুব্ধ।’’ এর পরেই তিনি যোগ করেন, ‘‘আপ ও বিজেপি দু’দলই কংগ্রেসের কাছে চ্যালেঞ্জ।’’ তবে জোটের রাস্তা অবশ্য বন্ধ করেননি শীলা। বলেন, ‘‘জোট বা মহাজোট করার প্রশ্নে রাহুল গাঁধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা তা মেনে চলব।’’
এর মধ্যেই পঞ্জাবে বিদ্রোহী আপ বিধায়ক বলদেব সিংহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে অভিযোগ করেছেন, মৌলিক নীতি থেকেই সরে গিয়েছেন নেতৃত্ব। কেজরীবালকে একনায়ক ও উদ্ধত বলেও গাল পেড়েছেন বলদেব। এর আগে একই অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছিলেন আপের আরও দুই বিধায়ক এইচ এস ফুলকা ও সুখপাল সিংহ খাইরা। খাইরার নতুন দল পঞ্জাব একতা পার্টির সূচনা মঞ্চেও দেখা গিয়েছিল বলদেবকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy