সংসদে জেটলি। পিটিআই
প্রধানমন্ত্রী হাত বাড়িয়ে ফেলেছিলেন করমর্দনের জন্য। হাত সরিয়ে নিয়ে নমস্কার জানালেন অরুণ জেটলি। শুধু প্রধানমন্ত্রী নন। কারও সঙ্গেই হাত মেলালেন না আপাতত দফতরবিহীন মন্ত্রী জেটলি। প্রধানমন্ত্রীর পাশে রাজ্যসভার নেতার আসনে গিয়ে বসলেন। কিন্তু সযত্নে ছোঁয়া বাঁচিয়ে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু সকলকে সাবধান করে দিলেন— ‘কেউ ছোঁবেন না অরুণ জেটলিজিকে!’
সংক্রমণের ভয় থাকা সত্ত্বেও আজ সংসদে এলেন জেটলি। কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রায় তিন মাস পরে এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তিনি। শুক্রবারই সংসদের বাদল অধিবেশন শেষ। জেটলির ইচ্ছে ছিল, অন্তত শেষ দু’দিন সংসদে আসবেন। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে বলছেন, ব্লগে রাজনৈতিক বিতর্কে অংশ নিলেও ঘরবন্দি অবস্থায় হাঁফিয়ে উঠছেন জেটলি। ডাক্তারদের অনুমতি না মেলায় কাজে ফিরতে পারছেন না।
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে ভোটাভুটির সুযোগটি লুফে নেন জেটলি। সকালে রাজ্যসভায় ঢুকতেই সবাই টেবিল চাপড়ে তাঁকে স্বাগত জানান। ভোটাভুটিতে অংশ নিয়ে নতুন ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহকে অভিনন্দন জানিয়ে জেটলি বক্তৃতাও দেন। অর্থ মন্ত্রকে এখনই যোগ দিচ্ছেন না জেটলি। ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল আজ লোকসভায় বলেন, জেটলি ভাল আছেন। খুব শীঘ্রই কাজে ফিরবেন। তবে আজ জেটলির ওজন কমে যাওয়া দেখে বিরোধী দলের নেতারা তাঁকে আরও বিশ্রাম নিয়ে কাজে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy