ত্রিপুরায় শ্রীমন্তপুরের এই ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টটির জিরো পয়েন্টে গেট তৈরি করতে আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশের বিজিবি। ফাইল চিত্র
দু’দেশের সুসম্পর্কের ভিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রসারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারও বাড়ছে। এ কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার যে চেকপোস্টগুলি রয়েছে, সেগুলিকে আরও উন্নত করার কাজ শুরু হয়েছে। তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র আপত্তিতে সিপাহিজলা জেলায় সোনামুড়া মহকুমায় শ্রীমন্তপুরে ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট, দক্ষিণ জেলার বিলোনিয়া মহকুমার মুহুরি ঘাট ও উনকোটি জেলার মনুঘাট ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনের আধুনিকরণ ও চালু হওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আগরতলায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনের প্রধান কীরিটি চাকমা জানিয়েছেন তিনি বিষয়টির কথা জানেন। রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের নজরেও আনা হয়েছে এই বিষয়। শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায় আশাবাদী, “দু’দেশের সুসম্পর্কের জোরেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে সমস্যাগুলি মিটিয়ে ফেলা যাবে। তাতে লাভ হবে দু’দেশেরই।”
ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া শ্রীমন্তপুরে ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টটিকে সুরক্ষিত ভাবে পরিচালনা করার জন্যে ফেন্সিং ও তিনটি গেট তৈরি করতে বলেছে রাজ্য সরকারকে। এই কাজগুলির জন্যে প্রয়োজনীয় অর্থও মঞ্জুর করেছে তারা। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো শিল্প উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে সেই কাজ শুরুও হলেও গত সাত মাস ধরে তা চলছে ঢিমে তালে। শিল্প উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায় বলেন, “বিজিবি বিএসএফকে জানিয়েছে, দু’দেশের সীমান্তের জিরো লাইনে কোনও রকম নির্মাণ করা যাবে না। এই কারণে গত সাত মাস ধরে কাজ ধীর গতিতে চলছে। জিরো পয়েন্টে ও আরও দু’টি গেট তৈরি করতে বিজিবির পক্ষ থেকে আপত্তি জানানো হয়েছে। ফলে গেটগুলি ও বিএসএফের জন্যে ঘর বানানোর কাজ থমকে রয়েছে।
আনুষঙ্গিক কাজ অবশ্য যথারীতি চলছে।” একই ভাবে বিজিবির আপত্তিতে আটকে বিলোনিয়া মুহুরি ঘাটের ল্যান্ড কাস্টম স্টেশন এর দোতলা বাড়ি ও গেট তৈরি এবং উনকোটি জেলার ল্যান্ড কাস্টম স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy