স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে মিড-ডে মিল খাচ্ছেন জেলাশাসক।
একে তো দলিত। তায় বিধবা। সেই কারণে এক মহিলাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিলেন প্রিন্সিপাল। ৩ বছর ধরে অনেক কাকুতি-মিনতি করেও ফল মেলেনি। পরে ওই মহিলাকে কয়েক হাজার টাকা ঘুষের প্রস্তাব দেওয়া হয়। যা তাঁর পক্ষে অসম্ভব ছিল। শেষে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হন তিনি। সব শুনে ওই মহিলাকে নিজের গাড়িতে বসিয়ে সোজা স্কুলে হাজির হন জেলাশাসক। এর ফলে ওই মহিলা তাঁর মিড-ডে মিলের রান্নার কাজ ফিরে তো পেলেনই, স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে বসে মিড-ডে মিলও খেলেন। আর ওই প্রিন্সিপাল? এক দলিতের সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহারের খেসারত বেশ ঠারেঠোরেই টের পেয়েছেন তিনি। স্কুল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে তাঁকে।
ঘটনাটি ঠিক কী?
দলিত মহিলাটি।
ঊর্মিলা নামে ৩৬ বছরের ওই মহিলা অওরঙ্গাবাদের বাসিন্দা। তিনি পটনার একটি সরকারি স্কুলে মিড-ডে মিল রান্না করতেন। বছর তিনেক আগে স্বামী মারা যায়। তার পরই দলিত-বিধবা হওয়ায় তাঁকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়। প্রিন্সিপাল জানিয়ে দেন, তাঁকে আর রান্না করতে দেওয়া হবে না। তার পর অনেক কাকুতি-মিনতি করেন ঊর্মিলাদেবী। শেষমেষ নগদ ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে তাঁকে কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার শর্ত দেন প্রিন্সিপাল। কিন্তু অসহায় ওই মহিলার সে সামর্থ্য ছিল না। তাই কোনও উপায় না দেখে শেষমেষ দ্বারস্থ হন পটনার জেলাশাসক কানবাল তনুজের। তাঁর কাছ থেকে পুরো বিষয়টি শুনে আর দেরি করেননি তনুজ। তৎক্ষণাৎ মহিলাকে গাড়িতে চাপিয়ে রওনা দেন স্কুলের উদ্দেশে। সব কিছু খতিয়ে দেখেন। প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে সত্য, তা প্রমাণ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁকে স্কুল থেকে বের করে দেন। আর ওই দলিত মহিলা পুনরায় মিড-ডে মিলের রান্নার কাজ ফিরে পান। ওই দিন পড়ুয়াদের সঙ্গে মেঝেয় বসে ঊর্মিলাদেবীর হাতের রান্নাও খান তিনি।
আরও পড়ুন: ফের গোমাংস-গুজব, প্ল্যাটফর্মে ফেলে মার দুই মুসলিম মহিলাকে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy