তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না বলে জানিয়ে দিলেন নিতিন গডকড়ী। আগামী লোকসভা ভোটে জেতার জন্য তিনি আস্থা রাখলেন নরেন্দ্র মোদীর উপরেই।
২০১৯-এ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে শরিকদের সঙ্গে বিজেপির সম্পর্কটা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। বিজেপির সঙ্গ ছেড়েছে তেলুগু দেশম পার্টি। শিবসেনা জানিয়ে দিয়েছে, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে একাই লড়বে তারা। বেসুরো গাইছে আর এক শিরোমণি অকালি দলও। শনিবার মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে শরিকদের সঙ্গে বিজেপির এই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করা হয় গডকড়ীকে। সেই সঙ্গে জানতে চাওয়া হয় আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপি যদি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে জিতে আসতে না পারে, তবে বৃহত্তর জোটের স্বার্থে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন কি না? উত্তরে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ এবং জাহাজমন্ত্রী বলেন, ‘‘২০১৯-এর ভোটে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বেই দল ফের জিতে আসবে। এই ব্যাপারে আমি আত্মবিশ্বাসী। আর আমি যেখানে আছি, সেখানেই সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছে আমার নেই। আমি এমন কোনও স্বপ্নও দেখি না।’’ আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপির সমস্ত শরিকরা একসঙ্গে লড়বে বলেও আত্মবিশ্বাসী গডকড়ী। কিন্তু শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে তো জানিয়েছেন, আগামী লোকসভা ভোটে একাই লড়বে তাঁর দল। তা হলে? গডকড়ীর জবাব, ‘‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু হয় না।’’ গডকড়ী আরও জানান, তিনি খুব সাধারণ এক জন নেতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি নিজের ওজন বুঝে চলি। আমি কাউকে ছবি বা বায়োডাটা দিই না। কোথাও কাটআউটও লাগাই না। আমাকে কেউ বিমানবন্দরে বরণ করে নিতেও আসে না।’’
মোদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি অগণতান্ত্রিক এবং কারওর কথা শোনেন না। বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে গডকড়ীর দাবি, প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এটি ভুল ধারণা। তিনি বলেন, ‘‘মোদী খুব নিয়ম মেনে চলেন, দৃঢ় প্রত্যয়ী। তাই তাঁকে কঠোর মনে হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তিনি কারও কথা শোনেন না।’’
আগের নেতাদের তুলনায় মোদী এবং অমিত শাহের নেতৃত্বে বিজেপিতে কি বদল এসেছে? উত্তরে গডকড়ী জানান, পরিবর্তনই একমাত্র সত্যি। ‘অচ্ছে দিন’ স্লোগান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘অচ্ছে দিনের বিশ্বাস এনে দিতে পারে খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থানই। মোদী সরকার সেই পদক্ষেপই করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy