Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
National News

‘ঘর ভেঙেছে, মাথা গোঁজার আশ্রয়ও নেই’

প্রশাসন বলল, এই বস্তি উচ্ছেদের কথা নাকি অনেক আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু সত্যিই সে রকম কিছু বলা হয়নি।

ছবি: পিটিআই।

ছবি: পিটিআই।

রাজেশ কুমার
আমদাবাদ শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:১৯
Share: Save:

বিমানবন্দরেরে কাছে হানসোল এলাকায় আমার খাবারের দোকান রয়েছে। ঠিক তার উল্টো দিকেই ৫০ মিটার দূরত্বের মধ্যে ওই বিতর্কিত বস্তি এলাকা। যেখানে দেওয়াল তোলা নিয়ে ইতিমধ্যেই বহু সমালোচনা হয়ে গিয়েছে। বহু দিন ধরে এই এলাকায় নিয়মিত যাতায়াত করি। কোনও দিনও দেখিনি আমার দোকান-সংলগ্ন বস্তি নিয়ে প্রশাসনের কোনও মাথাব্যথা রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আসার খবর শুনেছিলাম। দিন দশেক আগে হঠাৎ করেই দেখলাম, বস্তির সামনে চার ফুট উঁচু দেওয়াল তোলা হচ্ছে।

প্রশাসন বলল, এই বস্তি উচ্ছেদের কথা নাকি অনেক আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু সত্যিই সে রকম কিছু বলা হয়নি। আসলে এখানকার সবাই জানেন, এই বস্তির মানুষের গরিবির ছবি যাতে ট্রাম্পের চোখে না-পড়ে, তাই এই দেওয়াল তোলা হচ্ছে।

বস্তির মানুষ খুবই বিরক্ত হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এলেন, ওঁদের বাড়ির সামনে দিয়েই গেলেন, কিন্তু ওঁরা দেখতে পেলেন না। উল্টে ওঁদের ঘর ভেঙে দিয়েছে। মাথা গোঁজার আশ্রয় চলে গিয়েছে। বস্তির মানুষগুলো চান, সাংবাদিকেরা এখানে এসে ওঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনুন। ওঁদের অবস্থাটা দেখে যান।

আরও পড়ুন: ‘লোকসান ছাড়া এ শহরের কী হল!’

ওই বস্তিতে প্রায় তিনশো পরিবারের বাস। প্রায় সাতশো জন মানুষ রয়েছেন। দেওয়ার ওঠানোর কারণে ওঁদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পিছন দিক দিয়ে অনেকটা ঘুরে ওঁদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। দোকানপাট বন্ধ। বস্তির বেশির ভাগ মানুষ দিনমজুরের কাজ করেন। মানুষগুলোর রুজি-রোজগার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত ছ’দিন ধরে আমার দোকানও বন্ধ। আমার দোকানে চার জন কর্মচারি কাজ করেন, তাঁদের ছুটি দিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু ওঁদের মাইনে দেওয়া তো বন্ধ করা যাবে না।

লেখক স্থানীয় ব্যবসায়ী

(অনুলিখন: চৈতালি বিশ্বাস)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE