গৌতম আদানি। ছবি: সংগৃহীত
আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগও তুলে নিল রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের বিচারবিভাগীয় কর্তৃপক্ষ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, বিদ্যুৎ তৈরির জন্য আমদানি করা যন্ত্রাংশের দাম ৩৮০% বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের শো-কজও করা হয়। কিন্তু রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের বিচারবিভাগীয় কর্তা কে ভি এস সিংহ আজ জানিয়েছেন, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থা মহারাষ্ট্র ইস্টার্ন গ্রিড পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোম্পানি, দুবাইয়ের ইলেকট্রোজেন ইনফ্রা ও অমদাবাদের পিএমসি প্রোজেক্টসের বিরুদ্ধে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
আরও পড়ুন: রেলের মঞ্চে বাম-বিজেপি টানাপড়েন
এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে নেওয়া হলো। এর আগে বিদ্যুৎ শিল্পের যন্ত্রাংশ ও কয়লা আমদানির খরচ ৩,৯৭৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগও তুলে নেওয়া হয়েছিল। এ বার ১,৪৯৪ কোটি টাকা আমদানির বিল বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ তুলে নেওয়া হলো। দু’টি মিলিয়ে বন্ধ হলো মোট ৫,৪৬৭ কোটি টাকার আর্থিক নয়ছয়ের তদন্ত।
কংগ্রেস আগেই অভিযোগ তুলেছে, আদানিরা সরাসরি কোরিয়া বা অন্য দেশ থেকে পণ্য আমদানি করেছে। কিন্তু কাগজে-কলমে দেখানো হচ্ছে, দুবাইয়ের সংস্থা তা কিনে আদানি গোষ্ঠীকে বিক্রি করছে। সেই ফাঁপিয়ে দেখানো খরচের হিসেবের ভিত্তিতে বিদ্যুতের দাম ঠিক করায় সাধারণ মানুষকে বাড়তি মাসুল গুনতে হয়েছে। অন্য দিকে, আদানিদের লাভের টাকা কর ফাঁকির স্বর্গরাজ্য মরিশাসে গৌতম আদানির দাদা বিনোদ আদানির মালিকানাধীন একটি ট্রাস্টে জমা হয়েছে। এই বিনোদের নামে বিদেশে গচ্ছিত কালো টাকার তথ্য ছিল পানামা নথিতেও।
আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণের কটাক্ষ, ‘‘ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে ৫ হাজার কোটি টাকা করফাঁকির স্বর্গরাজ্যে পাচার করার জন্য ২০১৪-য় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর আদানিকে নোটিস পাঠাল। আর তিন বছর পরে তারাই বলল, সব ঠিক আছে!’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy