যখন বৃষ্টি থামল: বৃষ্টির জমা জলে সাউথ ব্লক ও নর্থ ব্লকের প্রতিচ্ছবি। রবিবার সন্ধেবেলা দিল্লিতে। ছবি: পিটিআই
প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে রবিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে মারা গিয়েছেন ন’জন, ছ’জন অন্ধ্রপ্রদেশে। দিল্লিতে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের, জখম ১৮। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গেও ন’জনের মৃত্যু হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর পূর্বাভাস দিয়েছিল, সোমবার জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, এবং উত্তরপ্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বজ্র-বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হবে। ঝোড়ো হাওয়া বইবে প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেগে। তার আগে আজই ধুলোর ঝড় আছড়ে পড়ে দিল্লিতে। ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল ৫০ থেকে ৭০ কিলোমিটার। যার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে যায় দিল্লি ও রাজধানী সংলগ্ন এলাকার উড়ান, রেল, ট্রাফিক, মেট্রো ও বিদ্যুৎ পরিষেবা। দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ এক্সটেনশনে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের। উড়ে যায় সেখানকার স্টেজের অংশ।
মৌসম ভবনের খবর, আজ সকাল থেকেই দিল্লিতে খুব গরম ছিল। তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ চারদিক অন্ধকার করে শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে ধুলোর ঝড়। এক ঘণ্টা উড়ান ওঠানামা বন্ধ রাখতে হয় ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ঘুরিয়ে দেওয়া হয় অন্তত ৪০টি উড়ান। ঝড়ে উপড়ে গিয়েছে অনেক গাছ। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাসস্টপে ভিড় জমান পথচারীরা। পৌনে এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন রুটের মেট্রোও। তবে ঝড়-বৃষ্টির পরে রাজধানীর তাপমাত্রা এক ধাক্কায় নেমে যায় ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
২-৩ মে ঝড়-বজ্রপাতে উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলঙ্গনা, উত্তরাখণ্ড ও পঞ্জাবে ১৩৪ জন মারা গিয়েছিলেন। আহত হন শতাধিক। তারপর ৯ মে উত্তরপ্রদেশে ঝড়ে মারা গিয়েছিলেন ১৮ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy