Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভোট নিয়ে চন্দ্রশেখরের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কমিশন

ভোট নিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ক্ষোভ, তাদের আগেই, বৃহস্পতিবার চন্দ্রশেখর জানিয়ে দিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোট হতে পারে রাজ্যে।

মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯ মাস আগেই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের। —ফাইল চিত্র।

মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯ মাস আগেই বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:০২
Share: Save:

ভোট নিয়ে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মন্তব্যে অসন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ক্ষোভ, তাদের আগেই, বৃহস্পতিবার চন্দ্রশেখর জানিয়ে দিয়েছেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভোট হতে পারে রাজ্যে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও পি রাওয়ত আজ বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী ভোটের দিন ঠিক করা নিয়ে যে সব কথা বলেছেন, তার নিন্দা করছি। তাঁর এই মন্তব্য অপ্রত্যাশিত।’’

আজ কমিশন ইঙ্গিত দিয়েছে, চলতি বছরের শেষে ভোট হতে পারে তেলঙ্গানায়। তবে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান ও মিজোরামের সঙ্গেই যে তেলঙ্গানার ভোট হবে— এমন ইঙ্গিত মেলেনি। রাওয়ত বলেন, ‘‘ভোটের দিন ক্ষণ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করতে যাবেন না কেউ। এখনও তা নিয়ে কেনও সিদ্ধান্ত হয়নি। সব দিক খতিয়ে দেখে কমিশন ঠিক করবে ওই চার রাজ্যের সঙ্গে তেলঙ্গানার ভোট করা যায় কিনা।’’ তার জন্য আগামী সপ্তাহে হায়দরাবাদে দল পাঠাবে বলে জানিয়েছে তারা।

নির্ধারিত সময়ের আট মাস আগে বিধানসভা ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব নিয়ে গত কাল রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলেন চন্দ্রশেখর। তাঁর সেই প্রস্তাব গৃহীতও হয়। রাওয়ত জানান, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিধানসভা ভাঙার ছ’মাসের মধ্যে বা সম্ভব হলে আরও আগে ভোট করা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘শীর্ষ আদালতের নির্দেশ আমরা মানতে বাধ্য। তাই নির্বাচন নিয়ে বিলম্ব হবে না।’’

ভোট এগিয়ে আনা নিয়ে কয়েক সপ্তাহ ধরেই চাপানউতোর চলছে তেলঙ্গানায়। ভোট নির্ধারিত ছিল পরের এপ্রিলে, লোকসভা ভোটের সঙ্গে। কিন্তু রাজ্যে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’র যুক্তি দেখিয়ে বিধানসভা ভেঙে ভোট এগিয়ে আনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও বিরোধীদের একাংশের দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতেই লোকসভা ভোটের সঙ্গে রাজ্যের ভোটে যেতে চান না চন্দ্রশেখর। সে ক্ষেত্রে তেলঙ্গানার কারিগর হিসেবে তাঁর ভূমিকাকে আলাদা করে দেখানোর সুযোগ থাকবে না। তাঁকে মুখোমুখি হতে হবে নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গাঁধীর সঙ্গে। তাই লোকসভা ভোটের আগে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, রাজস্থান ও মিজোরামের সঙ্গেই ডিসেম্বরে তেলেঙ্গনার ভোটে যেতে চান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE