ফাইল চিত্র।
মন্দির, মসজিদ ও গির্জা-সহ দেশের সবক’টি ধর্মীয় স্থান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের তহবিলে কত টাকা জমা পড়ছে আর তা কী ভাবে কোন কোন খাতে খরচ করা হচ্ছে, এ বার তার হিসেবনিকেশ চাইল সুপ্রিম কোর্ট।
ওই সব ধর্মীয় স্থান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মোট পরিমাণ কত, সেগুলির নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ হয় কি না, হলে কী ভাবে তার খরচ মেটানো হয়, নিয়মিত ভাবে তা অডিট করানোর নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওই সব জায়গায় কারা আসা-যাওয়া করছেন, মহিলা ও অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে কি না, নিয়মিত ভাবে তার ওপরেও নজর রাখতে বলল শীর্ষ আদালত।
এ ব্যাপারে অভিযোগ এলে দেশের সব জেলাশাসককে তাদের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সুর্কিম কোর্ট। জেলাশাসকদের ওই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এ বার জনস্বার্থ মামলা শুরু হতে পারবে হাইকোর্টগুলিতে।
বিচারপতি আদর্শ কে গয়াল ও বিচারপতি এস আবদুল নাজিরকে নিয়ে গড়া সুপ্রিম কোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
আরও পড়ুন- তফসিলি সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়
আরও পড়ুন- দলিত রায় নিয়ে আর্জির পথে কেন্দ্র
বিচারপতিরা রায় দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘‘ওই সব ধর্মীয় স্থান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের ক্ষেত্রে দর্শনার্থীদের অভিজ্ঞতা কী রকম, সেগুলির পরিচালন ব্যবস্থায় কোনও গলদ রয়েছে বা, সেগুলির ঠিক ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না, তার ওপর নজর রাখার দায়িত্ব শুধুই কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলির নয়, আদালতগুলিরও সেই দায়িত্ব রয়েছে।’’
তবে বিচারপতিদের একাংশের বক্তব্য, ভারতে এই মুহূর্তে বড় মন্দিরের সংখ্যা ২০ লক্ষ। মসজিদ রয়েছে ৩ লক্ষ। গির্জা রয়েছে কয়েক হাজার। অন্য ধর্মীয় স্থান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও ৫০ হাজারের কম নয়। দেশের বিভিন্ন আদালত ও হাইকোর্টগুলিতে ইতিমধ্যেই পড়ে রয়েছে অন্তত ৩ কোটি ১০ লক্ষ মামলা, যেগুলির শুনানি এখনও পর্যন্ত শুরু করা যায়নি। ফলে, মামলার পাহাড় প্রায় এভারেস্ট হয়ে গিয়েছে দেশের আদালতগুলিতে। তা ছাড়াও, আদালতগুলিতে বিচারপতি, বিচারকদের ২৩ হাজার পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। ওই রায় কার্যকর হওয়ার পর যা আরও দ্রুত বাড়বে। শুধু তাই নয়, এ ব্যাপারে জেলাশাসকদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্য ও লোকবল নিতে হবে। যা সময়সাপেক্ষ।
সুপ্রিম কোর্টের ওই ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিতে গিয়ে এও বলেছে, ‘‘পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে শুধু হিন্দুরাই প্রবেশ করতে পারবেন, এই নিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। এটা বদলাতে হবে। সব ধর্মের মানুষকেই প্রবেশাধিকার দিতে হবে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে। কোনও পোশাক বিধি থাকলে তার পরিবর্তনের কথাও ভাবা উচিত মন্দির পরিচালকদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy