প্রতীকী ছবি।
ইভিএম-এ কারচুপির বিরুদ্ধে এ বার সংগঠিত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিলেন বিরোধীরা। শনিবার ব্রিগেডের সভা থেকেই সকলে ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তোলেন। ব্যালটে ফিরে যাওয়ারও দাবি ওঠে। পরে বিষয়টি নিয়ে আরও এক ধাপ এগনো হয়। সভা শেষের চা চক্রে ৪ জনের ড্রাফট কমিটি তৈরি হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপতি এবং নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যাঁরা আলোচনা করবেন, নিজেদের দাবি পেশ করবেন।
এ দিন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রবীণ নেতা ফারুক আবদুল্লা প্রথম বলেন, ‘‘ইভিএম চোর মেশিন। এই মেশিন বন্ধ করা দরকার। সবাই মিলে নির্বাচন কমিশনে যেতে হবে। ফেরাতে হবে কাগজের ব্যালট।’’ এর খানিক পরে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু বলেন, ‘‘ফারুক আবদুল্লার সঙ্গে আমি এক মত। ইভিএমে কারচুপি হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে কাগজের ব্যালট ব্যবহার করা হোক।’’
ব্রিগেড শেষে আলিপুরের ‘সৌজন্য’এ বৈঠকে বসেন আগত নেতারা। সেখানে এ বিষয়ে তৈরি ৪ জনের ড্রাফট কমিটিতে রাখা হয় সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব, কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির নেতা সতীশ মিশ্র।
স্থির হয়, এই নেতারাই নির্বাচন কমিশন এবং রাষ্ট্রপতির কাছে যাবেন। তাঁদের প্রস্তাব হবে, এখনই যদি পুরোপুরি ব্যালটে ফেরা না যায়, তা হলে সব ইভিএমে ভিভিপ্যাট ব্যবহার করতে হবে। যাতে বোঝা যাবে ভোট ঠিক মতো পড়েছে
কি না। গণনার সময় অন্তত ৫০% ভোট ভিভিপ্যাটের সঙ্গে মেলাতে হবে। মমতা বলেন, ‘‘ইভিএমের বিষয়ে একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তারা ড্রাফট জমা দিলে আমরা সবাই মিলে দেখে নেব। তার পর নির্বাচন কমিশনে যাওয়া হবে।’’
কিছু দিন আগে মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ের ভোটের পরেও বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। ব্যালটে ফেরার কথা বলেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। এ দিনের ব্রিগেড সমাবেশে সেই দাবি অন্য মাত্রা পেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy