Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

রাজীব গাঁধীর বিরুদ্ধে সেনা অভ্যুত্থানের ছক! দাবি প্রাক্তন সেনাকর্তার

যা আকছারই হয় পাকিস্তানে, ১৯৮৭ সালে কি তেমন ভাবেই, সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল? আর সেই চেষ্টার কথা কি জানতেন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি জৈল সিংহ-সহ বেশ কয়েকজন বড় রাজনীতিকও? জানতেন তদানীন্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য বিদ্যাচরণ শুক্লও?

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ১৮:৫০
Share: Save:

যা আকছারই হয় পাকিস্তানে, ১৯৮৭ সালে কি তেমন ভাবেই, সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর সরকারকে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল?

আর সেই চেষ্টার কথা কি জানতেন তদানীন্তন রাষ্ট্রপতি জৈল সিংহ-সহ বেশ কয়েকজন বড় রাজনীতিকও? জানতেন তদানীন্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য বিদ্যাচরণ শুক্লও?

তাঁর লেখা বই ‘দ্য আনটোল্ড ট্রুথ’-এ এমনটাই দাবি করেছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের প্রাক্তন প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল পি এন হুন। তাঁর সদ্য প্রকাশিত বইয়ে হুন লিখেছেন, ওই সেনা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়ার কথা ছিল তদানীন্তন সেনাপ্রধান জেনারেল কৃষ্ণস্বামী সুন্দরজি ও উপ-সেনাধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস এফ রডরিগসের। লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুন তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ’৮৭-র মে-জুনে তিনি যখন সেনাবাহিনীর ওয়েস্টার্ন কম্যান্ডের প্রধান ছিলেন, তখন তিনি তাঁর কম্যান্ডের সদর দফতর থেকে একটি বার্তা পান। যে-বার্তায় তাঁকে জানানো হয়, কম্যান্ডের তিনটি প্যারা-কম্যান্ডো ব্যাটেলিয়ানকে সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে পাঠাতে বলা হয়েছে। তদানীন্তন উপ-সেনাধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট জেনারেল রডরিগসের তত্ত্বাবধানেই থাকার কথা ছিল ওই তিনটি কম্যান্ডের। এই খবর পেয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুন নাকি তা সঙ্গে-সঙ্গেই জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধী ও তাঁর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি গোপি অরোরাকে। প্রাক্তন সেনাকর্তা এ-ও দাবি করেছেন, তদানীন্তন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেটের সদস্য বিদ্যাচরণ শুক্লও ওই অভ্যুত্থানের চক্রান্তের কথা জানতেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE