আবার দেশ জুড়ে সত্যাগ্রহ আন্দোলনে নামছেন অণ্ণা হাজারে। তবে এ বার তিনি প্রথম থেকেই সতর্ক। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর আন্দোলনে যাঁরা সঙ্গী হবেন তাঁদের প্রথমেই মুচলেকা দিতে হবে, রাজনীতিতে যাব না। রাজনৈতিক দল খুলব না।
আজ গুয়াহাটিতে এসেছেন এই অশীতিপর গাঁধীবাদী নেতা। এ বার তাঁর লক্ষ্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের দুর্নীতি, অকর্মণ্যতা এবং জনবিমুখ নীতি। অণ্ণা জানান, আগামী বছর ২৩ মার্চ থেকে ফের লোকপাল নিয়ে আন্দোলনে নামবেন তিনি। আন্দোলন হবে ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য আদায়, ৬০ বছরের বেশি বয়সী কৃষকদের পেনশন পাওয়ার দাবিতে। লক্ষ্য, সরকার বিরোধী জনমত গড়ে তোলা। ডাক দেবেন পরিবর্তনের। তিনি বলেছেন, ‘‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে মোদী সরকারের লড়াই ও পরিবর্তনের ডাক শুধু বিজ্ঞাপনী প্রতিশ্রুতিতেই সীমাবদ্ধ।’’ উল্টে এই সরকারের আমলে ভারত দুর্নীতিতে বিশ্বের পয়লা নম্বর হয়ে উঠেছে বলে তাঁর দাবি।
কংগ্রেস সরকারকে নাড়িয়ে দেওয়া অণ্ণার প্রথম আন্দোলনে পাশে ছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল, কিরণ বেদীরা। কিন্তু তাঁদের এক জন নতুন দল গড়ে এখন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিরণ বেদী বিজেপি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজ্যপাল হয়েছেন। কার্যত তাঁর আন্দোলনের সঙ্গীদের এই ‘ক্ষমতা প্রীতিতে’ বিরক্ত অণ্ণা এ বার সঙ্গীদের কাছ থেকে স্পষ্ট এবং লিখিত অঙ্গীকার চাইছেন—রাজনীতি নয়, ক্ষমতা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy