ধসে ভেঙেছে রেল লাইন। ফাইডিংয়ে। ছবি: বিপ্লব দেব।
লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে ফাইডিং-এর কাছে গত রাতের ঝড়বৃষ্টিতে ফের ধস নামে। তার জেরে ওই রেলপথে ট্রেন চলাচল অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ২৭ এপ্রিল থেকে লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইনে ফাইডিং, হারাঙ্গাজাও ও ডিটেকছড়ার মধ্যে ধস নামায় ট্রেন চলাচল থমকে গিয়েছে। ফাইডিং স্টেশনের কাছে ধসে প্রায় ২০০ মিটার লাইন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। রেলকর্মীরা ধস সরানোর কাজ করে গেলেও বরাইলে লাগাতার বৃষ্টিতে ফাইডিং-এর পরিস্থিতি জটিল করে তুলেছে। কবে সেখান ট্রেন চলতে পারে, তা নিয়ে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি।
২ মে পর্যন্ত লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল বাতিল করেছিল রেল। এ দিনও লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। ওই লাইনে ট্রেন পরিষেবা শুরু করতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ অফিসার প্রণবজ্যোতি শর্মা। এ দিন ফাইডিংয়ে ধস-কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই সম্ভব নয়। এ বার বরাইলে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। তাতে ধস সরানোর কাজেও সমস্যা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, গত রাতের বৃষ্টিতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। প্রণববাবু বলেন, ‘‘মিটারগেজ লাইন থাকার সময়ও এই রুটে ধস নেমে মাঝেমধ্যেই পরিষেবা ব্যাহত হতো। বরাইল পাহাড়ের মাটি নরম, তাই বৃষ্টি হলেই ধস নামে।’’ তিনি জানান, দ্রুত পরিষেবা শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে। নিউহাফলং–জাটিঙ্গালামপুরের মধ্যে ১০ নম্বর সুড়ঙ্গে ৩৫ মিটার ফাটল ধরেছে, তা মেরামতির কাজ চলছে। তা ছাড়া হারাঙ্গাজাও এবং ডিটেকছড়ার কাছে ২৫৭ নম্বর রেলসেতুর কাছে ৫০ মিটার অংশের লাইনের নীচে মাটি-পাথর জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে। তা মেরামতির কাজও চলছে।
৬ দিন ধরে ওই লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বরাক উপত্যকা-সহ জেলার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy