শিলংয়ের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এক মধ্যবয়সি ভবঘুরে নিজেকে দাবি করছিলেন বাংলাদেশের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলে! একে বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, তার উপর আবার মন্ত্রী! এমনিতেই ভিন্ দেশ থেকে আসা লোকেদের নিয়ে কড়া মেঘালয়ের পুলিশ। কিন্তু শিলংয়ের গল্ফ লিঙ্ক রোডে ঘুরে বেড়ানো লোকটি নিজেকে মন্ত্রী বলে দাবি করতেই টহলদার পুলিশ নিশ্চিত হন যে ওই ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন। তাই বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টির (বিএনপি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথা কক্সবাজারের প্রাক্তন সাংসদ সালাউদ্দিন আহমেদকে সোজা মেঘালয়ের একটি মানসিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে জানা যায়, সত্যিই ওই ব্যক্তি বিএনপির নিখোঁজ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আপাতত সালাউদ্দিন আহমেদকে শিলং সিভিল হাসপাতালে রেখেছে পুলিশ। তিনি কী ভাবে বাংলাদেশ থেকে এক ব্যক্তি কোনও কাগজপত্র ছাড়া শিলং এসে পৌঁছলেন তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত ঘোষণা করেছে মেঘালয় পুলিশ। তবে বাংলাদেশ হাই কমিশনের তরফে মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি।
সালাউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১-৯৬ সালে খালেদা জিয়ার সহকারী সচিব ছিলেন। খালেদা জিয়ার শাসনকালে তিনি প্রতিমন্ত্রীও হন। গত ১০ মার্চ থেকে সালাউদ্দিন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর হাসিনাও প্রাক্তন সাংসদ। তিনি গত কালই সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সালাউদ্দিন শিলং থেকে ফোন. করেছিলেন। তিনি সুস্থ আছেন। তাঁকে যেন ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়। স্বামীকে দেশে ফেরাতে হাসিনা সকলের সাহায্যও চেয়েছেন।
বাংলাদেশ হাই কমিশন গত কাল রাত পর্যন্ত বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ফোন করে সালাউদ্দিনের খবর নেয়। কিন্তু সরকারি ভাবে হাই কমিশনের কাছ থেকে সালাউদ্দিন সংক্রান্ত কোনও বার্তা মেঘালয় পুলিশ পায়নি। মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ অ্যান্ড নিউরোলজিক্যাল সায়েন্সেসের চিকিৎসক এ কে রায় জানান, সালাউদ্দিন মানসিক ভাবে সুস্থ। তবে তিনি হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। প্রসঙ্গত, সালাউদ্দিন এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
বিএসএফ-এর ডিআইজি এস কে সিংহ জানান, যেহেতু সালাউদ্দিন সীমান্ত পার করার সময় নয়, শিলং শহরে ধরা পড়েছেন তাই বিষয়টি আপাতত পুলিশের এক্তিয়ারভুক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy