—ফাইল চিত্র।
আইন সংশোধনে রাজি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু নিজেদের দাবি থেকে একচুলও সরতে নারাজ আন্দোলনকারী কৃষকরা। কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে আগেই সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। এ বার বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ভারত বন্ধের ডাক দিলেন তাঁরা। ৮ ডিসেম্বর অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার দেশ জুড়ে বন্ধ পালনের ঘোষণা করেছেন তাঁরা। তার আগে ৫ ডিসেম্বর অর্থাৎ শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের (বিকেইউ-লাখোওয়াল) তরফে এমনই ঘোষণা করা হল।
বন্ধ চলাকালীন সমস্ত জাতীয় সড়ক এবং টোলপ্লাজাগুলি অবরোধ করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হরিন্দর সিংহ লাখোয়াল সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘কৃষি আইন সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করতে হবে বলে গতকালই কেন্দ্রকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। ৫ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করব আমরা। ৮ ডিসেম্বর ভারত বন্ধের ডাক দিয়েছি। আরও অনেক মানুষ আমাদের এই আন্দোলনে যোগ দেবেন।’’
গত দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষকরা। সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীতে আন্দোলন টেনে আনেন তাঁরা। উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড-সহ অন্যান্য রাজ্যের কৃষকরাও তাতে যোগ দেন। দিল্লি পুলিশ সীমানা আটকে দেওয়ায় এই মুহূর্তে দিল্লি-পঞ্জাব এবং দিল্লি-হরিয়ানা সীমানায় হাজার হাজার কৃষক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। অল ইন্ডিয়া কিসান সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লার কথায়, ‘‘এই আন্দোলন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদের। সরকারকে কৃষি আইন প্রত্যাহার করতেই হবে।’’
আরও পড়ুন: জিডিপির হারে ইতিবাচক ইঙ্গিত পেতেই সর্বকালীন উচ্চতায় বাজার
আরও পড়ুন: কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে ট্রুডোর মন্তব্যের জের, কানাডার হাইকমিশনারকে তলব
এ দিকে শনিবার মোদীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানোর যে কর্মসূচি নিয়েছেন কৃষকরা, ওই একই সময়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পঞ্চম দফায় বৈঠক চলবে তাঁদের প্রতিনিধিদল। সেখানে সমঝোতায় আসা সম্ভব হতে পারে বলে আশাবাদী বিকেইউ-এর নেতা রাকেশ টিকায়েত। তিনি বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবারের বৈঠকে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসেনি। যে তিনটি আইন ঘিরে বিতর্ক তা সংশোধনে মত রয়েছে কেন্দ্রের। কিন্তু আমরা চাই ওই তিনটি আইন সম্পূর্ণ ভাবে প্রত্যাহার করা হোক। সরকার আমাদের দাবি না মানলে আন্দোলন চলবে। শনিবারের বৈঠকে কী হয় এখন তা-ই দেখার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy