Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
National News

ছেলে ফেল করায় মিষ্টি খাইয়ে, শোভাযাত্রা বার করে উদ্‌যাপন বাবার

এ সেই মধ্যপ্রদেশ, যেখানে কয়েক দিন আগেই পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ১১ পড়ুয়া। তাদের মধ্যে ৬ জন মারাও যায়। কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন, কেউ বা উচ্চমাধ্যমিকে।

ছবি: টুইটারের সৌজন্যে

ছবি: টুইটারের সৌজন্যে

সংবাদ সংস্থা
ভোপাল শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৮ ১৯:৩৮
Share: Save:

ছেলে চার বিষয়ে ফেল করেছে। তাতে কি! বাবা ঢাকঢোল পিটিয়ে মিষ্টি খাওয়ালেন প্রতিবেশীদের। বকাঝকা তো দূরের কথা, উল্টে ছেলেকে ফুলের মালা দিয়ে সাজিয়ে রীতিমতো শোভাযাত্রী করে পাড়া ঘোরাচ্ছেন তিনি! সোমবার এমন অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের সাগরে।

এ সেই মধ্যপ্রদেশ, যেখানে কয়েক দিন আগেই পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ১১ পড়ুয়া। তাদের মধ্যে ৬ জন মারাও যায়। কেউ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন, কেউ বা উচ্চমাধ্যমিকে। অকৃতকার্য ওই ছাত্রের বাবা সুরেন্দ্র কুমার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি বরং উল্টো পথে হেঁটে ছেলেকে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। সুরেন্দ্র কথায়, “একটা পরীক্ষায় ফেল মানেই জীবন শেষ নয়। জীবন সবে শুরু হয়েছে। চাই না ছেলে কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিক।” নিজের ছেলে ফেল করলেও, এই ‘উদযাপন’-এর মধ্য দিয়ে তিনি অন্য বাবা-মায়েদের সেই বার্তাই দিতে চেয়েছেন। সুরেন্দ্র বলেন, “সন্তানদের অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে, তাদের কাছে টেনে ভালবাসা উচিত।”

একই কথা শোনা গেল মনোবিদ দোলা মজুমদারের গলায়। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, “পরীক্ষার নম্বর নয়, ছোটবেলা থেকেই জ্ঞান অর্জনে সন্তানদের উৎসাহ দেওয়া উচিত। তা হলে তারা নিজে থেকেই অনেক কিছু শিখবে। তারা কি ভালবাসে সে দিকেও নজর রাখতে হবে। বাবা-মাকে ভয় পেলে, অনেক কিছুই লুকিয়ে যাবে সন্তানরা। যা আত্মহত্যার মতো ভয়ঙ্কর পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে।”

আরও পড়ুন
শর্তসাপেক্ষে জম্মু-কাশ্মীরে বন্ধ থাকবে সমস্ত অভিযান, জানাল কেন্দ্র

কোনও কিছুতে অকৃতকার্য হলেই বকাঝকা, তিরস্কার জুটছে সন্তানদের কপালে। মনোবিদরা জানাচ্ছেন, বিপদ লুকিয়ে রয়েছে সেখানেই। সন্তানদের কাছ থেকে বাড়তি প্রত্যাশার কারণেই তারা মানসিক অবসাদে ভুগছে। পরীক্ষায় ভাল ফল না হলেই ভেঙে পড়ছে। চাপ সহ্য করতে না পেরে, শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হচ্ছে। মনোবিদ রাজর্ষি গুহঠাকুরতা বলেন, “অকৃতকার্য ছাত্রের বাবা যে সাহস দেখিয়েছেন, তাতে হয়তো আর একটি আত্মহত্যা আটকানো গেল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE