হলদিয়া বন্দরে জাহাজকর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা। ছবি: বন্দর কর্তৃপক্ষের সৌজন্যে
দেশের প্রথম নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্তের খবর মিলল কেরলে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, আক্রান্ত তরুণী চিনের উহানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তারি পড়েন। চিন-ফেরত ওই তরুণীকে কেরলের হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। উহানে আটকে পড়া বাকি ভারতীয়দের কাল সন্ধ্যায় ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস।
ভারতে এই প্রথম নিশ্চিত ভাবে নোভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর মিলল। গত কাল মালয়েশিয়ার হাসপাতাল থেকে ত্রিপুরার যুবক মনির হাসানের মৃত্যুর খবর আসে। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তারা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত চিন-ফেরত ৪৯ জনের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে কেরলের তরুণীর শরীরেই ভাইরাস মিলেছে। তবে আক্রান্তের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ মেলার পরে আজ রোগ প্রতিরোধের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক করেন ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা।
এ দিকে, চিনে মৃতের সংখ্যা আজ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭০। আক্রান্ত ছ’হাজারের বেশি। এই অবস্থায় চিনের সব চেয়ে বিপজ্জনক শহর উহানে আটকে থাকা ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে দিল্লি। চিনের কাছে আবেদন জানিয়েছিল তারা। আজ খানিক স্বস্তি দিয়ে বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস বলেছে, ‘‘আগামিকাল সন্ধ্যায় বার করে আনা হবে। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’ দূতাবাসের তরফে আরও জানানো হয়েছে, দু’টি বিমানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম বিমানে শুধু সেই সব ভারতীয়কে নেওয়া হবে, যাঁরা উহান ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় রয়েছেন এবং বিপন্মুক্ত (অর্থাৎ, যাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত নন, দেশে ফিরতে চান এবং মুক্তির জন্য চিন সরকারের ছাড়পত্র পেয়েছেন)। দ্বিতীয় বিমানে হুবেই প্রদেশের অন্য শহরে আটক ভারতীয়দের আনা হবে।
এই মুহূর্তে আটকে থাকা ভারতীয়দের প্রয়োজনীয় তথ্য জানার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ভারত সরকার ও দূতাবাস। তারা জানিয়েছে, ঠিক কত জন ভারতীয় উহানে আটকে আছেন, সেট এখনই বলা সম্ভব নয়। তাদের কথায়, ‘‘যে তথ্য দেওয়া হচ্ছে, সেটাই চূড়ান্ত, এমনটা নয়। এই (অসম্পূর্ণ) তথ্য জানানোর কারণ একটাই, যাতে আপনারা প্রস্তুত থাকতে পারেন। আমাদের লক্ষ্য সকলকে নিরাপদে দেশে ফেরানো।’’
উহান বিশ্ববিদ্যালয়ে অঙ্ক নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন বর্ধমানের বাসিন্দা সাম্যকুমার রায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি ফোনে জানান, এ দিন বেজিংয়ের দূতাবাস থেকে যোগাযোগ করে শুক্রবার সন্ধ্যায় দেশে ফেরানোর কথা বলা হয়। তাঁকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।
উদ্ধারের জন্য এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৪৭ বোয়িং তৈরি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আটকে থাকা ভারতীয়রা দেশে ফেরার পরে ১৪ দিন একটি শহরে কোয়ারান্টাইন করে রাখা হবে তাঁদের। কিন্তু কোন শহরে ‘নজরবন্দি’ রাখা হবে, তা জানানো হয়নি।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy