কেউ বের করেছে পুরনো বই ব্যবহার করে গাছ বাঁচানোর পদ্ধতি। কেউ বা আবার পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে থার্মোকল গলিয়ে আঠা বের করার পদ্ধতি বের করেছে, যা গৃহস্থলি, ক্ষুদ্র ও বৃহৎ শিল্পের কাজে ব্যবহার করা যাবে। যারা এই কাজ করেছে তারা সকলেই স্কুল পড়ুয়া। সকলেই জাতীয় শিশু বিজ্ঞান কংগ্রেসে তাদের প্রকল্প নিয়ে হাজির ছিল। এ বার তারা সুযোগ পেল ইসরোর ‘যুব বিজ্ঞান কর্মশালা’য়। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর এবং মালদহ থেকে একজন করে পড়ুয়া প্রাথমিকভাবে নির্বাচিতদের তালিকায় রয়েছে।
সায়েন্স কমিউনিকেটরস ফোরাম সূত্রে জানা গিয়েছে, এপ্রিল মাসের শেষে ইসরোর ওই প্রশিক্ষণ শুরু হবে। ১৫ দিন চলবে। সূত্রের খবর, প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে তিনজন করে পড়ুয়া ওই শিবিরে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। প্রাথমিক প্রতি রাজ্য থেকে ১৫ জনের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকেই ৩ জনকে বেছে নেওয়া হবে। তবে এখনও প্রশিক্ষণের তারিখ ঘোষণা হয়নি। বৃহস্পতিবার ইসরোর তরফে প্রাথমিক নির্বাচিতদের তালিকা বিভিন্ন স্কুলে পাঠান হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা অভিযান দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ির জিডিএল বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী নন্দিতা সাহা, জলপাইগুড়ির ভোটপট্টি হনুমান বক্স লোহিয়া হাইস্কুলের ছাত্র সৌরদীপ পালের নাম প্রাথমিক তালিকায় আছে। শিলিগুড়ি মহকুমার মুরলিগঞ্জ হাই স্কুলের ছাত্র অনুপম দাস, উত্তর দিনাজপুরের সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের ছাত্রী অনস্মিত মিত্র এবং মালদা জোহরকমল শেঠিয়া হিন্দি হাই স্কুলের নিশা মণ্ডল ইসরোর প্রাথমিক তালিকায় স্থান পেয়েছে। সৌরদীপ বাদে বাকি চারজনই নবম শ্রেণিতে পাঠরত। নিশার বক্তব্য, ‘‘স্বপ্ন সফল হওয়ার মতো আনন্দ। চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেল আরও ভালো লাগবে।’’ অনুপম বলেন, ‘‘প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলে অনেক কিছু শেখার ইচ্ছা আছে।’’
মুরলিগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীরা খুবই উৎসাহিত। ইসরোর এই ধরনের প্রশিক্ষণ ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান চর্চায় অনেকটাই এগিয়ে দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy