ওড়ার অপেক্ষায় চন্দ্রযান-২ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায়।—ছবি পিটিআই।
অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে রবিবার গভীর রাতে চন্দ্রযান-২ উৎক্ষেপণ করা হবে। সেই জন্য রবিবার রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের মাথার উপরে বিমানের বেশ কিছু রুট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান মন্ত্রক। সেই জন্য রবি ও সোমবার বেশ কিছু উড়ানের সময়সূচি বদল করা হয়েছে। কিছু উড়ান বাতিল হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কলকাতার আকাশের থেকে বেশি প্রভাব পড়বে চেন্নাইয়ের আকাশের উড়ানে।
বিমানবন্দরের কর্তাদের মতে, এই ধরনের রকেট উৎক্ষেপণের সময় হিসেবের সামান্য ভুলচুক হতেই পারে। তখন কাছাকাছি কোনও বিমান থাকলে ভয়ঙ্কর ক্ষতির আশঙ্কা। রকেটটি বিমানের কাছে চলে গেলে কয়েকশো যাত্রীর প্রাণসংশয় হতে পারে। তাই ঝুঁকি না-নিয়ে ইসরো-র সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কিছু রুট একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমান পরিবহণের ভাষায় একে বলা হয় ‘এয়ার স্পেস স্টেরাইল’ করা।
কলকাতা থেকে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু-সহ দক্ষিণের বেশির ভাগ শহরে যাওয়ার সময় বিমান বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে ওড়ে। রবিবার রাত থেকে নিষেধাজ্ঞার জন্য সেই সব বিমানকে উত্তরের আকাশ দিয়ে পাঠানো হবে। অনেক আগে থেকেই নোটাম (নোটিস টু এয়ারমেন) জারি করে বিষয়টি সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়। বঙ্গোপসগারের কোন কোন রুট বন্ধ থাকবে, তার বদলে বিমান কোন কোন রুট ব্যবহার করতে পারবে—আগাম জানানো হয় সবই। সেই তথ্য জানা থাকলে রওনা হওয়ার আগেই রুটের দৈর্ঘ্যের উপরে নির্ভর করে অতিরিক্ত জ্বালানি তুলে নেন পাইলটেরা।
বিমানবন্দরের খবর, এ-সব ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক রুটে উড়ানগুলির সমস্যা হয় বেশি। যারা উপকূলের কাছাকাছি বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উড়ে যায়, তাদের উত্তর দিকে সরিয়ে আনতে সমস্যা হয় না। কিন্তু রকেট উৎক্ষেপণের প্রভাব কলম্বোর আকাশেও পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পোর্ট ব্লেয়ারের কাছ দিয়ে উড়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। অত দূর থেকে বিমানকে ঘুরিয়ে উত্তরে আনা সম্ভব হয় না। তাতে অনেক বেশি জ্বালানি পোড়ার আশঙ্কা থাকে। তখন সেই সব উড়ানও বাতিল করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy