মহিলা কনস্টেবলের মৃত্যু ঘিরে হাঙ্গামা। ছবি: পিটিআই।
ডেঙ্গিতে মৃত্যু মহিলা কনস্টেবলের। তাই নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বিহারে। সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকদের পেটাল প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা। মারধর থেকে রক্ষা পেলেন না পুলিশের কম্যান্ডান্টও। পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি, চলল কয়েক রাউন্ড গুলিও।
পটনা পুলিশ লাইনের প্রশিক্ষণরত এক মহিলা কনস্টেবল সম্প্রতি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হন। ছুটির জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। তবে তা মঞ্জুর হয়নি। পরিস্থিতির অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
সেই খবর পুলিশ লাইনে এসে পৌঁছনো মাত্র তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়। সহকর্মীর মৃত্যুতে ফুঁসে ওঠেন প্রশিক্ষণরত কনস্টেবলরা। আসবাবপত্র ভাঙচুর করতে শুরু করেন তারা। সিনিয়রদেরও রেয়াত করেননি। তাঁদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করেন।
Patna: Police personnel protest and create ruckus allegedly after an ailing woman constable passed away due to lack of treatment.Protesters claim the commandant did not grant her an adequate leave period to get treated.The commandant was injured after being thrashed by protesters pic.twitter.com/GtJbgN1owL
— ANI (@ANI) November 2, 2018
ঝামেলার রিপোর্ট তলব করেছেন নীতীশ কুমার।
আরও পড়ুন: নিজে বেকার, তাই চাকরি দেওয়ার ব্যবসা খুলে বসেছিল এই যুবক!
যদিও তাঁদের নিশানায় মূলত ছিলেন একজন পুলিশ সুপার ও একজন ডেপুটি পুলিশ সুপার। তাঁরাই নাকি ওই মহিলার ছুটির আবেদন মঞ্জুর করেননি। তাই তাঁদের গাড়িতে ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা। সেগুলি উল্টেও দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে হাজির সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এলে বাধা পান পুলিশের সিনিয়র সুপারিনটেন্ডেন্ট মনু মহারাজ। তাঁকে পুলিশ লাইনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য সেখানে প্রবেশ করতে সক্ষম হন তিনি। এসটিএফ জওয়ান, এটিএস এবং বিহার সেনা পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্দেশ দেন।
তার বেশ কিছু ক্ষণ পরই বিক্ষোভ থামে বলে জানান পটনার ডিআইজি রাজেশ কুমার। ডিজিপি কেএস দ্বিবেদীর কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডিজিপি দ্বিবেদী জানান, সবে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছেন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশের কাজকর্ম এবং শৃঙ্খলা সম্পর্কে এখনও তেমন ওয়াকিবহাল নন তাঁরা। যারা ঝামেলা সৃষ্টি করেছে, তাদের কড়া শাস্তি হবে। তবে বহিরাগতদের ইন্ধনও ছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
আরও পড়ুন: ‘ক’দিন আগেই ওরা বলে গিয়েছিল, এনআরসি-র বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করলে ঘরে ঘরে ঢুকে মারা হবে’
মৃত মহিলা কনস্টেবলকে ছুটি দেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় ওই মহিলার। তাই ছুটি মঞ্জুর হওয়া, না হওয়া এখানে অপ্রাসঙ্গিক।
তবে এই ঝামেলা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়ে গিয়েছে বিহারে। নীতীশ কুমার ক্রমশ রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy