স্বাধীনতা দিবসে প্রশাসনের তরফে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পরই মৃত্যু হল স্বাধীনতা-যুদ্ধের এক প্রবীণ সেনানীর। মানপত্র, উপহার হাতে নেওয়ার পরই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিছু ক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়।
গত কাল হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসন গুণীজন সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল। ওই তালিকায় ছিলেন প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী হরিদাস দেবনাথ (৮৭)। শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে হরিদাসবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর হাতে সান্মানিক মানপত্র তুলে দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলেন্দু রায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা প্রশাসনের এক প্রতিনিধিদল।
তার কিছুক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় হরিদাসবাবুর। আজ জেলাশাসকের দফতরে তাঁর স্মৃতিতে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক রূপক গুপ্তের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই শোকসভায় বিভিন্ন বক্তা প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামীর জীবনের বিভিন্ন দিকের কথা তুলে ধরেন। হরিদাসবাবু প্রচারবিমুখ ছিলেন বলে অনেকেই মন্তব্য করেন।
ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক রূপক গুপ্ত জানান, এমন এক স্বাধীনতা সংগ্রামীকে সংবর্ধনা দিতে পেরে জেলা প্রশাসন কৃতজ্ঞ বলে মন্তব্য করেন। হরিদাসবাবুর আদর্শ অনুসরণ করতে বর্তমান প্রজন্মকে অনুরোধ জানান তিনি। অতিরিক্ত জেলাশাসক অমলেন্দু রায়, সার্কেল অফিসার সরফরাজ হক, পরিমল গোস্বামীও ওই সভায় বক্তব্য রাখেন।
অন্য দিকে, ২০০৪ সালে অসমের ধেমাজি জেলায় জঙ্গি হামলায় নিহতদের স্মরণেও একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক রূপক গুপ্তের সভাপতিত্বে ওই অনুষ্ঠানে ধেমাজি-কাণ্ডে নিহতদের শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করা হয়। অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের শপথ নেওয়া হয়।
গত কাল হাইলাকান্দি জেলাশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলাশাসক রূপক গুপ্ত। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা কুচকাওয়াজে সামিল হয়। জেলার গুণীজনদের সংবর্ধনা জানানো হয়।
কলেজে অনুষ্ঠান। স্বাধীনতা দিবসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করল ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পের কাটলিছড়া এস কে রায় কলেজ ইউনিট। সঙ্গে ছিল লায়ন্স ক্লাব। এস কে রায় কলেজের অধ্যক্ষ দীপককান্তি আইচ, রঞ্জিৎ ঘোষ, পরিতোষ চন্দ্র পাল, মানিক গুপ্ত, রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy