Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Fake job

নিজে বেকার, তাই চাকরি দেওয়ার ব্যবসা খুলে বসেছিল এই যুবক!

বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার ব্যবসা ফেঁদে বসে  যুবক। তৈরি করে ভুয়ো ওয়েবসাইট।

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৩৪
Share: Save:

নিজে উচ্চ মাধ্যমিকপাশ। চেষ্টা করেও চাকরি জোটাতে পারেনি। এ দিকে ঘরে দিন আনি দিন খাই অবস্থা। মনে হতাশা জেঁকে বসেছিল। তখনই কুবুদ্ধি মাথাচাড়া দেয়। বেকার যুবকদের চাকরি দেওয়ার ব্যবসা ফেঁদে বসে যুবক। তৈরি করে ভুয়ো ওয়েবসাইট। যাতে চাকরির জন্য মরিয়া ছেলেমেয়েদের টোপ দিতে পারে। বদলে হস্তগত হয় মোটা টাকা। তবে পসার জমানো আর হল না।তার আগেই ধরা পড়ে গেল পুলিশের জালে।

রাজস্থানের ঘটনা। ভুয়ো চাকরির কারবারি ওই যুবকের নাম খুশি মহম্মদ। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে চাকরির চেষ্টা করেছিল। তবে মেলেনি। তাই দু’-একজন বন্ধুর সঙ্গে মিলে ভুয়ো চাকরির ব্যবসা খোলে। মন্ত্রিমহলে তাদের ওঠাবসা রয়েছে বলে দাবি করত তারা। চাকরির খোঁজে হন্যে হয়ে ঘোরা ছেলেমেয়েদের পাকড়াওকরত। টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেবে বলে লোভ দেখাত।

তবে ব্যবসা জমে ওঠার আগেই খবর পৌঁছে যায় পুলিশের কাছে। কেন্দ্র সরকারের ‘পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় এগ্রিকালচার ডেভলপমেন্ট রিসার্চ কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া’র নামে ভুয়ো কারবার চলছে বলে অভিযোগ জমা পড়ে। নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।

আরও পড়ুন: জঙ্গিদের গুলিতে কাশ্মীরে হত বিজেপি নেতা ও তাঁর ভাই, শুরু সেনা টহল​

আরও পড়ুন: ‘ক’দিন আগেই ওরা বলে গিয়েছিল, এনআরসি-র বিরুদ্ধে বাড়াবাড়ি করলে ঘরে ঘরে ঢুকে মারা হবে’

তাতে দেখা যায়, পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের নামে একটি ওয়েবসাইটও রয়েছে তাদের। কৃষি মন্ত্রকের সঙ্গে সেটির যোগ রয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে দেখা যায় কোনও সরকারি দফতরের সঙ্গেই যোগ নেই সাইটটির। তার পরই নজরদারি শুরু হয়।জালিয়াতিতেযুক্ত সন্দেহভাজনদের একটি তালিকা তৈরি হয়। শুরু হয় গ্রেফতারি। এখনও পর্যন্ত খুশি মহম্মদ এবং তার সহযোগী অমিত যাদবকে গ্রেফতার করা গিয়েছে। খোঁজ চলছে বাকিদের।

দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার ডেপুটি কমিশনার ভীষ্ম সিংহ জানিয়েছেন, রীতিমতো ওয়েব ডিজাইনার ভাড়া করেছিল অভিযুক্তরা। তৈরি করেছিল ভুয়ো নথিপত্র। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চালানোর নাম করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। যাতে চাকরি পেতে ওয়েবসাইটে নাম লেখায় ছেলেমেয়েরা। সেই বাবদ টাকা জমা দেয় তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। দিল্লির শাহদরায় একটি কল সেন্টার খোলারও পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE