Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

একদা গড়ে জামানত জব্দ কংগ্রেসের  

একমাত্র সনিয়া গাঁধীর রায়বরেলী ছাড়া উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস যে ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, সব ক’টিতেই তারা বিপর্যস্ত হয়েছে। ইলাহাবাদ ও ফুলপুরে প্রার্থী হতে চাননি কং‌গ্রেসের নেতা-কর্মীরা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সং‌বাদ সংস্থা
প্রয়াগরাজ শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৯ ০১:১৫
Share: Save:

ইলাহাবাদ। ফুলপুর। এক সময়ে কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল উত্তরপ্রদেশের এই কেন্দ্রগুলি। এ বার ওই কেন্দ্রগুলিতে জামানত জব্দ হয়েছে ক‌ং‌গ্রেস প্রার্থীদের। শুধু তাই নয়, কং‌গ্রেসের কর্মী-নেতাদের মধ্যে কেউ ওই দুই কেন্দ্রে প্রার্থী হতেও রাজি হননি।

একমাত্র সনিয়া গাঁধীর রায়বরেলী ছাড়া উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস যে ক’টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল, সব ক’টিতেই তারা বিপর্যস্ত হয়েছে। ইলাহাবাদ ও ফুলপুরে প্রার্থী হতে চাননি কং‌গ্রেসের নেতা-কর্মীরা। মনোনয়ন পেশের কয়েক দিন আগে বিজেপি ছেড়ে ক‌ংগ্রেসে যোগ দেন যোগেশ শুক্ল। তাঁকে ইলাহাবাদে প্রার্থী করা হয়। ফুলপুরে প্রার্থী হয়েছিলেন আপনা দলের প্রতিষ্ঠাতা পঙ্কজ নিরঞ্জনের জামাই কৃষ্ণ পটেল। কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই দুই কেন্দ্রে যে বিপর্যয় হতে পারে তা আঁচ করেছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই এই দুই কেন্দ্রে রাহুল গাঁধী বা প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা প্রচার করেননি।

নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, ইলাহাবাদে প্রদত্ত ভোটের মাত্র ৩.৫৯ শতাংশ পেয়েছে‌ন যোগেশ শুক্ল। অন্য দিকে ফুলপুরে নিরঞ্জন পেয়েছেন প্রদত্ত ভোটের মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ। কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রদত্ত ভোটের অন্তত ১৬.৬৭ শতাংশ না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। হারের নৈতিক দায় স্বীকার করে ইস্তফা দিতে চেয়েছেন প্রয়াগরাজ জেলা ও শহর কংগ্রেস কমিটির নেতারা। প্রয়াগরাজ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হাসিব আহমেদের কথায়, ‘‘ইলাহাবাদের মানুষের মনে কংগ্রেসের প্রতি যে শ্রদ্ধা ছিল তা হারিয়ে গিয়েছে। আমরা কারণ খোঁজার চেষ্টা করছি। ফের দলের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করব।’’

স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে ফুলপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিল‌েন খোদ জওহরলাল নেহরু। নেহরুর মৃত্যুর পরে তাঁর বোন বিজয়লক্ষ্মী পণ্ডিত দু’বার এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হন। ১৯৬৯ সালের উপনির্বাচনে প্রথম ফুলপুরে কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হন সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী জ্ঞানেশ্বর মিশ্র। ১৯৮৪ সালে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমবতীনন্দন বহুগুণাকে হারিয়ে ইলাহাবাদ কেন্দ্র থেকে জয়ী হন অমিতাভ বচ্চন।

২৫ বছর পরে ইতিহাসের বড় পরিবর্তনের সাক্ষী ছিল ইলাহাবাদ। সে বার কং‌গ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে ইলাহাবাদ থেকে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন বহুগুণার মেয়ে রীতা বহুগুণা জোশী।

কংগ্রেসে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে রয়েছেন প্রিয়ঙ্কা বঢরা গাঁধী। তাও গাঁধী পরিবারের গড় হিসেবে পরিচিত অমেঠীতে হেরেছেন রাহুল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে কংগ্রেসের প্রভাব বাড়ার সম্ভাবনা কম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE