Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভোটের পরে সন্ত্রাস, মানিক চাইলেন বিপ্লবের হস্তক্ষেপ

সন্ধ্যায় বিপ্লববাবু সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের দল ও বিরোধী, সকলের কাছেই সংযত থাকার আবেদন জানান।

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

বাপি রায়চৌধুরী
আগরতলা শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৯ ০৪:৫০
Share: Save:

ত্রিপুরায় নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস বন্ধে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের হস্তক্ষে‌প চাইলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার। আজ মানিকবাবুর নেতৃত্বে সিপিএম পরিষদীয় দলের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রী নিবাসে গিয়ে বিপ্লববাবুর সঙ্গে দেখা করেন। পরে মানিকবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওঁকে বলেছি, মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি আপনি বিজেপির রাজ্য সভাপতিও। বিরোধীদের উপরে লাগাতার সন্ত্রাস বন্ধ করার দায়িত্ব আপনার। রাজ্যকে এর থেকে বের করে আনুন।’’ সন্ধ্যায় বিপ্লববাবু সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের দল ও বিরোধী, সকলের কাছেই সংযত থাকার আবেদন জানান।

মুখ্যমন্ত্রী এ দিন ২০১৩ ও ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচন পর্বের সার্বিক সন্ত্রাসের ঘটনার সঙ্গে এ বারের তুলনা টেনে বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ঘটনার নিরিখে এ বার অনেক কম ঘটনা ঘটেছে। তবে আমি সন্তুষ্ট নই।’’ তিনি পরোক্ষে স্বীকার করে নেন, অন্য দল থেকে যারা বিজেপিতে এসেছে তারাই গন্ডগোল করছে। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পুরনো অভ্যাস তাদের এখনও যায়নি।’’ বিরোধী পক্ষ থেকে কোনও রকম উস্কানি ও প্ররোচনা যাতে না দেওয়া হয় তার জন্য বিরোধী সিপিএম ও কংগ্রেসের কাছে আবেদন করেছেন। কোনও রকম চাঁদা তোলার উপরেও তিনি নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। দলের নতুন কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘পুরনো অভ্যাস ভুলে যান।’’

তার আগে, আজ বিকেলে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান সন্ত্রাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়েছেন বিধায়ক বাদল চৌধুরী। মানিক বাবু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলছেন ‘সবকা সাথ, সবকা বিশ্বাস’। বিপ্লব বাবুকে বলেছি, আপনি ও সেই দলেরই সভাপতি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং আপনাকেও এই কথা বাস্তবায়িত করতে হবে। বিরোধীদের নিশ্চিহ্ন করলে হবে না।’’

সন্ত্রাসের শিকার যে শুধু বিরোধীরাই হচ্ছে তা নয়। বিজেপির নতুন ও পুরনো গোষ্ঠীর মধ্যেও লাগাতার সংঘর্ষ চলছে। কয়েকদিন আগে বিজেপিরই এক গোষ্ঠীর হাতে মিঠুন দেবনাথ নামে আর এক গোষ্ঠীর নেতা খুন হয়েছে। সন্ত্রাস রুখতে বিপ্লববাবুর কথাও শুনছে না দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। আগরতলা শহর সংলগ্ন একটি বিজেপি মণ্ডলের সভাপতি হীরালাল দেবনাথকে পিস্তল উঁচিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়েছে দলেরই অন্য গোষ্ঠী। তাঁর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। বিষয়টি নিয়ে হীরালালবাবু অভয়নগর থানায় এফআইআর করেছেন।

গোষ্ঠী কোন্দলের কথা পুলিশও স্বীকার করছে।

হীরালালবাবু থানায় অভিযোগ জানানো ছাড়াও বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী ও পশ্চিম ত্রিপুরার সদ্য নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ প্রতিমা ভৌমিককে জানান। প্রতিমাদেবী হীরালালবাবুর বাড়িতেও যান। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবও তাঁকে ডেকে বিষয়টি বিশদে শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। অভিযোগ, দলের নতুন গোষ্ঠীর চাপে পুরনোরা কোণঠাসা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Manik Sarkar Biplab Deb Political Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE