আবার বিদেশি-নিগ্রহ। আবার উত্তরপ্রদেশ।
ফতেপুর সিক্রিতে সুইস দম্পতির নিগৃহীত হওয়ার দু’সপ্তাহের মধ্যেই শোনভদ্র জেলার রবার্টস্গঞ্জ স্টেশনে মার খেলেন এক জার্মান নাগরিক। তাঁর নাম হোলগার এরিক, থাকেন বার্লিনে। তাঁকে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন আমন যাদব নামে রেলের এক ঠিকাদার।
অগোরী দুর্গ দেখতে বারাণসী থেকে শোনভদ্র আসেন হোলগার। পুলিশ সূত্রের বক্তব্য, কাল স্টেশনে ওই ঠিকাদার তাঁকে শোনভদ্রে আসার কারণ জানতে চান। ওই জার্মান নাগরিকের অভিযোগ, আমনের মুখে মদের গন্ধ পেয়ে তিনি উত্তর দেননি। তাতে ক্ষিপ্ত আমন তাঁকে আক্রমণ করেন। অভিযুক্তের পাল্টা দাবি, তিনি হোলগারকে ‘ভারতে স্বাগত’ বলেছিলেন। হোলগার তাঁকেই ঘুষি মারেন, মুখে থুতু দেন। ফলে আত্মরক্ষায় মারপিট করতে হয়।
আরও পড়ুন: গুজরাত জয়ে তিন তুর্কিই তাস রাহুলের
রাজ্যের কাছে এই সম্পর্কে জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। তবে কোনও পদক্ষেপ করে বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের সামনে আনতে এ বার কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত বিদেশ মন্ত্রক। বিরোধীদের অভিযোগ, ঘটনাটিকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। কারণ হোলগার সম্পর্কে রাজ্যের এক পুলিশকর্তা বলেছেন, ‘‘উনি সম্ভবত মানসিক অবসাদে ভুগছেন।’’ আরও দাবি, গত বছরের জুলাইয়ে কুলুতে এক ব্যক্তিকে ছুরি মারার অভিযোগ রয়েছে হোলগারের বিরুদ্ধে। তখন তাঁর পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত হয়। যদিও এর কোনও প্রামাণ্য তথ্য দিতে পারেনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
হোলগার মুখ খোলেননি। শুধু বলেন, ‘‘ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ব্যক্তি পরিসরের পক্ষে রায় দিয়েছে। দয়া করে আমার ব্যক্তিগত পরিসরটিকে বিপর্যস্ত করবেন না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy