অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ার প্রস্তাব নিয়ে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ঘায়রুল হাসন রিজভি। অযোধ্যা নিয়ে আদালতের বাইরে ফয়সালার পথ খুঁজতে এগোচ্ছেন তিনি। আর এ ক্ষেত্রে তাঁর প্রস্তাব, মুসলিমরা ‘বড় মন দেখিয়ে’ অযোধ্যায় রামমন্দির গড়তে দিলে কাশী ও মথুরার মসজিদ নিয়ে কোনও বিতর্ক গ্রাহ্য হবে না। এই সূত্রেই কথাবার্তা চান তিনি।
অযোধ্যায় বাববি মসজিদ-রাম জন্মভূমি বিতর্কিত জমির মালিকানার মামলার দ্রুত শুনানি করতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। পরের জানুয়ারিতে মামলার শুনানি। আর উনিশের লোকসভা ভোট যতই এগিয়ে আসছে, আইন করে রামমন্দির গড়ার ব্যবস্থা করাতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে সঙ্ঘ পরিবার। এই পরিস্থিতিতে রিজভি আজ বলেন, ‘‘১৪ নভেম্বর জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, চেয়ারম্যান হিসেবে আমি যদি চাই, আদালতের বাইরে অযোধ্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতে পারি।’’
এই দায়িত্ব পেয়েই মুসলিমদের ‘বড় মন’ দেখানোর জন্য আর্জি জানিয়েছেন রিজভি। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সব পক্ষের কাছে তিনি প্রস্তাব দিতে চলেছেন, মুসলিমরা যদি অযোধ্যায় রামমন্দির গড়তে দেন, তা হলে কাশী ও
মথুরার মসজিদের ব্যাপারে কোনও বিতর্ক গ্রাহ্য হবে না। এ নিয়ে
মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পদাধিকারী ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতি অলোক কুমারের সঙ্গে আলোচনা করতে চলেছেন রিজভি। আর তাঁর প্রস্তাব নিয়ে যদি ইতিবাচক সাড়া পান, তা হলে নরেন্দ্র মোদী ও যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও কথা বলবেন।
অযোধ্যায় রামমন্দির গড়া নিয়ে রিজভির মন্তব্য, ‘‘মুসলিমদের কাছে মক্কা, মদিনা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, হিন্দুদের কাছে তেমনি অযোধ্যা। এ ভাবেই বিষয়টিকে দেখা উচিত। অযোধ্যায় রামমন্দির গড়ার জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’’ রিজভির আগেই অবশ্য অযোধ্যা নিয়ে আদালতের বাইরে সমাধানের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। এক সময়ে ধর্মগুরু রবিশঙ্কর এ নিয়ে চেষ্টা চালালেও বিশেষ সাড়া পাননি। এখন রিজভি কত দূর এগোতে পারেন, সেটাই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy