গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কোনও আর্জিতেই কাজ হল না। ‘টিক টক’ ভিডিয়ো অ্যাপের উপর যাতে নিষেধাজ্ঞা জারি না করা হয়, সেই আর্জি জানিয়ে মঙ্গলবার মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল চিনের ‘বাইটডান্স টেকনোলজি’। কিন্তু আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। ফলে ‘টিক টক’-এর উপর নিষেধাজ্ঞা বহালই রইল।
আদালতের এই রায়ের কয়েক ঘণ্টা পরই জনপ্রিয় ভিডিয়ো অ্যাপ ‘টিক টক’ ব্লক করে দিল গুগল। ফলে এ দেশে গুগল প্লে স্টোর থেকে এখন আর ডাউনলোড করা যাবে না এই ভিডিয়ো অ্যাপ।
জনমানসে কুপ্রভাব ফেলছে, এই অভিযোগ এনে ‘টিক টক’-এর বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। গত ৩ এপ্রিল মামলাটি মাদ্রাজ হাইকোর্টে ওঠে। আদালত তখন জানিয়ে দিয়েছিল, বহুল জনপ্রিয় এই ভিডিয়ো অ্যাপ পর্নোগ্রাফি ও শিশুর যৌন নিগ্রহের মতো ঘটনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। অতএব, কেন্দ্রীয় সরকারের এখনই এই অ্যাপ-এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত।
কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের এক সূত্রের খবর, সরকার এর পরই অ্যাপল ও গুগলকে চিঠি লেখে। সেই চিঠিতে এই দুই সংস্থাকে আদালতের নির্দেশ মেনে ‘টিক টক’ অ্যাপ বন্ধ করার কথা বলা হয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকেই তাদের প্লে স্টোর থেকে ‘টিক টক’ অ্যাপটি তুলে নেয় গুগল। সেই সঙ্গে এক বিবৃতি জারি করে করে জানায়, এই অ্যাপ নিয়ে তারা কোনও মন্তব্য করতে চায় না। গুগল অ্যাপটি ব্লক করলেও অ্যাপল প্লে-স্টোরে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত অ্যাপটি ছিল। তারাও এই বিষয়টি নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। অন্য দিকে, গুগল অ্যাপটি তুলে নেওয়ার পরেও ‘টিক টক’-এর তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
আরও পড়ুন: প্যাকেটে ওয়ার্ড নম্বর, ভোটার পিছু বিলির হিসেব! ভোটের মুখে ফের উদ্ধার বিপুল টাকা
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
‘টিক টিক’ একটি জনপ্রিয় ভিডিয়ো অ্যাপ। ভারতে এই অ্যাপের চাহিদা তুঙ্গে। মূলত স্পেশ্যাল এফেক্ট ব্যাবহার করে ছোট ছোট ভিডিয়ো ক্লিপিং, জোকস, লিপ সিঙ্ক, নাচ এবং গানের একটা জনপ্রিয় সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম। বিশেষ করে যুব সমাজের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি। গত ফেব্রুয়ারিতে অ্যাপ অ্যানালিটিক্স সংস্থা সেন্সর টাওয়ার-এর এক সমীক্ষা বলছে, ২৪ কোটি বার ডাউনলোড করা হয়েছে এই অ্যাপটি। এ বছরের জানুয়ারিতেই শুধু ৩ কোটি ইউজার এই অ্যাপটি ডাউলোড করেছেন।
মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল ‘বাইটডান্স টেকনোলজি’। আদালতে সংস্থাটি জানিয়েছিল মাদ্রাজ হাইকোর্টের ওই রায় ভারতের বাকস্বাধীনতার বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কিন্তু শীর্ষ আদালত মামলাটিকে ফের মাদ্রাজ হাইকোর্টেই পাঠিয়ে দেয়। আগামী ২৪ এপ্রিল এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy