তাঁর দলের তহবিলে ইডির নজরদারিকে ‘দলিত বিরোধী চক্রান্ত’ আখ্যা দিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা আক্রমণ করলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী।
দিল্লিতে ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার করোলবাগ শাখায় বিএসপির অ্যাকাউন্টে পুরনো টাকায় জমা হওয়া ১০৪ কোটি ও মায়াবতীর ভাইয়ের একটি অ্যাকাউন্ট এখন ইডির তদন্তকারীদের আতসকাচের নীচে। কাল এ খবর প্রকাশ পেতেই আজ লখনউ থেকে পাল্টা তোপ দাগেন মায়া। তাঁর দাবি, দলের অ্যাকাউন্টে যে টাকা জমা পড়েছে, তা কর্মীদের দেওয়া ও হিসেব বহির্ভূত নয়। মোদীর উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁর মন্তব্য, আত্মসম্মান থাকলে মোদী জানান, নোট বাতিলের ১০ মাস আগে থেকে এ পর্যন্ত কত টাকা বিজেপি-র অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। পুরনো নোটে কত টাকার সম্পত্তিই বা কেনা হয়েছে? মায়াবতীর অভিযোগ, বিজেপি একটি দলিত বিরোধী দল। সে জন্যই তারা চায় না উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে কোনও দলিতের মেয়ের হাতে শাসন ক্ষমতা আসুক। সে কারণেই বিএসপির তহবিল নিয়ে কালি ছেটানোর কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ যদিও এই অভিযোগ সরাসরি খারিজ করেছেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দলিতদের উন্নয়ন ও দুর্নীতি আলাদা বিষয়। কারও সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন তোলা হলেই দলিত বিরোধী ছাপ মেরে দেওয়ার কোনও কারণ নেই।’’ মায়াবতী এ দিন জানান, অগস্টে তিনি যখন উত্তরপ্রদেশে ছিলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কর্মীরা তখন দলের তহবিলে টাকা দিয়েছেন।
ইউবিআইয়ের করোলবাগ শাখায় মায়াবতীর ভাইয়ের অ্যাকাউন্টেও প্রায় দেড় কোটি টাকার পুরনো নোট জমা হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টেও নজর ইডি-র। এ নিয়ে আজ বিএসপি নেত্রী জানান, ব্যবসার টাকা আয়কর আইন মেনেই ব্যাঙ্কে জমা করেছে তাঁর ভাই। কাল তিনি মন্তব্য করেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে সপা ও কংগ্রেসের জোট বিজেপির সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায়। তার পরেই বিএসপির তহবিল নিয়ে নজরদারি শুরু হয়েছে। রবিশঙ্করের যুক্তি, বিএসপি নেত্রী তো কালই এ সব কথা বললেন, ব্যাঙ্কে টাকা জমা করেছেন তো অনেক আগে। তা হলে দু’টো বিষয় এখন মিলিয়ে দিচ্ছেন কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy