বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর। —ফাইল চিত্র।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবর দেশে ফিরতে পারেন রবিবার। নাইজিরিয়া সফর শেষ করে মধ্য আফ্রিকার দেশ ইকুয়েটরীয় গিনি ঘুরে ফিরবেন তিনি। ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে সরব হয়েছেন সংবাদজগতের অনেকেই। আকবরকে সরানোর জন্য চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, আগামিকাল নির্ধারিত সময়ে মন্ত্রী ফিরলে তাঁকে বলা হবে নিজের সপক্ষে কোনও বক্তব্য থাকলে জানাতে। এবং তার পর যাতে তিনি নিজেই সরে দাঁড়ান, সেই নির্দেশ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
আকবরের সম্পর্কে অভিযোগ ওঠার পর সরকারের চার শীর্ষ মন্ত্রী— অরুণ জেটলি, রাজনাথ সিংহ, নিতিন গডকড়ী এবং সুষমা স্বরাজ চাপ তৈরি করে চলেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপর। তবে রাজনৈতিক সূত্রের খবর, আকবরকে বরখাস্ত করা হবে না। সরকারের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছেন, তিনি নিজে সরলে, সেটাই ভাল।
সরকারের পক্ষে বিষয়টি নিয়ে আজ মুখ খুলেছেন বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। আকবরের নাম না করে স্মৃতি বলেছেন, ‘‘যে ভদ্রমহোদয় সম্পর্কে এই অভিযোগ উঠেছে, তিনি নিজেই বিবৃতি দিন। তবে যে ভাবে মহিলারা কর্মস্থলে তাঁদের যৌন হেনস্থার কথা খোলাখুলি বলছেন, এটা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। কোনও ভাবেই তা যেন বন্ধ না হয়।’’ স্মৃতির এই মন্তব্যের পরে আরওই স্পষ্ট যে, আকবরকে ছেঁটে ফেলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, শুধু মন্ত্রীরা নন, আরএসএস-ও ক্ষোভ জানিয়েছে মোদীর কাছে। বিজেপি সরকার এখনও কেন আকবরকে বরখাস্ত করেনি, তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সংবাদমাধ্যমে কলম ধরেছেন এবিভিপি-র দীর্ঘদিনের সদস্য রশ্মি দাস। আরএসএস-এর সহ-সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবালে-ও ফেসবুক আধিকারিক আঁখি দাসের একটি পোস্ট শেয়ার করে মিটু-কে সমর্থন করেছেন। গত কাল থেকে কংগ্রেসও আকবর-অপসারণের দাবি জানিয়ে আসছে। আজ রাফাল নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনেও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বলেছেন, ‘‘মি-টু নিয়ে পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে আমি বিস্তারিত ভাবে মতামত জানাব।’’
এই অবস্থায় পিএমও মনে করছে, ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্প থেকে শুরু করে তিন তালাক নিয়ে কড়া অবস্থান নেওয়া মোদীর পক্ষে দেশজোড়া এই ক্ষোভের মুখে আকবরকে পদে বসিয়ে রাখাটা কঠিন। সামনেই নির্বাচন। আকবর সরে গেলে অভিযোগের তিরটি অন্তত সরকারের উপর থেকে সরে যাবে। আবার দলের অন্য একটি অংশের মত, আকবরকে সরিয়ে দিলে বিরোধীরা রক্তের স্বাদ পেয়ে যাবেন। তাঁরা এর পর যে কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে ভাবমূর্তিতে কালি লাগাতে পারেন। সেটাও কেন্দ্রকে মাথায় রাখতে হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy