Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রাফালে অধিকার ভঙ্গই অস্ত্র কংগ্রেসের

রাফাল যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত বিষয়টিতে সংসদকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে কংগ্রেস।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৮ ০২:৫২
Share: Save:

রাফাল যুদ্ধবিমান সংক্রান্ত বিষয়টিতে সংসদকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগে খোদ প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বিরুদ্ধে স্বাধিকারভঙ্গের প্রস্তাব আনতে চলেছে কংগ্রেস। আজ প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা এ কে অ্যান্টনিকে নিয়ে সংসদেই সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আনন্দ শর্মা। সঙ্গে ছিলেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও। সেখানেই স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা।

গত শুক্রবার অনাস্থা বিতর্ক চলাকালীন রাফাল নিয়ে মোদীকে বিঁধেছিলেন রাহুল। জানতে চান, ইউপিএ আমলের ৬৭০. ৩২ কোটি টাকার বিমান কী ভাবে মোদীর হাতে ১৬০০ কোটি টাকা হয়ে গেল! ফ্রান্সের সংশ্লিষ্ট অডিট সংস্থা থেকে পাওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে এই দাম জানা গিয়েছে। রাহুলের অভিযোগ, দেশের মানুষের কাছে এই দাম গোপন করেছেন মোদী।

এই প্রশ্নটিকে সামনে রেখেই আজ আক্রমণ শানিয়েছেন অ্যান্টনি। অনাস্থা বিতর্কের দিন সীতারামন চুক্তির গোপনীয়তা প্রশ্নকে ঢাল করে রাহুলকে পাল্টা আক্রমণ করেছিলেন। আজ অ্যান্টনির বক্তব্য, যে কোনও সামরিক চুক্তিরই দু’টি দিক থাকে। একটি কৌশলগত নিরাপত্তার দিক, অন্যটি তার দাম বা ব্যবসায়িক দিক। কৌশলগত দিকটি প্রকাশ করতে সরকার অবশ্যই বাধ্য নয়। কিন্তু কত দাম দিয়ে অস্ত্র বা যুদ্ধ বিমান কেনা হচ্ছে, তা হয় সংসদে, নয় ক্যাগ বা পিএসি বা সংসদীয় স্থায়ী কমিটি — কোথাও না কোথাও জানাতে তারা বাধ্য। মোদী এবং নির্মলা তা তো জানানইনি বরং অনাস্থা বিতর্কের দিন গোপনীয়তার প্রসঙ্গটি তুলে সংসদকে বিভ্রান্ত করেছেন।

আজ কংগ্রেস স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দেওয়ার তোড়জোড় শুরু করায়, নড়ে বসেছে বিজেপিও। প্রধানমন্ত্রী আজই আফ্রিকাগামী বিমানে চড়েছেন। ফলে সন্ধ্যায় আসরে নামেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি রাফাল বিমানগুলি তৈরিতে যা খরচ পড়ছে, তার ভিত্তিতে দাম (কস্ট প্রাইস) ঘোষণা করে দিয়েছেন। রবিশঙ্করের দাবি, ২০১১ সালে ইউপিএ সরকার যে দামে রাফাল বিমানের চুক্তিতে সম্মত হয়েছিল তার তুলনায় মোদী সরকার আদতে ৯ শতাংশ কম দামে তা কিনেছে! কিন্তু কংগ্রেসের যুক্তি, প্রকৃত দাম এবং কস্ট প্রাইসের মধ্যে আকাশপাতাল তফাৎ রয়েছে। রবিশঙ্করের বক্তব্য, ‘‘আমরা কস্ট প্রাইসই কেবল ঘোষণা করতে পারি। কারণ তার পর সামরিক প্রয়োজনে তাতে কী কী যন্ত্রাংশ লাগানো হয়েছে তা প্রকাশ্যে বলতে পারি না। দেশের নিরাপত্তা নিয়ে রাহুল গাঁধী যেন রাজনীতি না করেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE