প্রতীকী ছবি।
জেলা ধরে ধরে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজে নামল নরেন্দ্র মোদী সরকার। সঙ্ঘের অনেক নেতা বহু দিন ধরেই দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু সংগঠন জোর কদমে আসরে নেমে প্রচার চালাচ্ছে। যে সাতটি বড় রাজ্য নিয়ে কেন্দ্র উদ্বিগ্ন, ঘটনাচক্রে সেগুলির সব ক’টিই বিজেপি-শাসিত। এদের মধ্যে একমাত্র অসমকে বাদ দিলে বাকি সবই গো-বলয়ের রাজ্য।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বেজিং সাফল্য পাওয়ায় খুব শীঘ্রই চিনকে টপকে এক নম্বরে পৌঁছতে চলেছে ভারত। পরিস্থিতি যে কড়া হাতে সামলানো প্রয়োজন, তা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এই মুহূর্তে দেশের গড় প্রজনন হার হল ২.১। ইতিবাচক দিক হল, দেশের ২৪টি রাজ্য ওই সূচকের নিচে অবস্থান করে। যাদের মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গও (১.৬)। উদ্বেগের রাজ্যগুলি হল: বিহার (৩.৩), উত্তরপ্রদেশ (৩.১), মধ্যপ্রদেশ (২.৮), রাজস্থান (২.৭), ঝাড়খণ্ড (২.৬), ছত্তীসগঢ় (২.৫), অসম (২.৩)। ছবিটি বদলাতে দেশের মোট ১৪৬টি জেলাকে চিহ্নিত করে স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নড্ডা জানিয়েছেন, দেশের যে যে প্রান্তে জন্মের হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি, সেখানেই বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। ওই ৭টি রাজ্যের জেলাগুলিকে বেছে তাদের নিজস্ব চরিত্র অনুযায়ী ‘মাইক্রো’ পরিকল্পনা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘রাজ্য সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।’’
ঠিক হয়েছে স্থানীয় এলাকাগুলিতে দফায় দফায় বৈঠক করে জন্মনিয়ন্ত্রণের ফায়দা বোঝানো হবে। জন্মনিয়ন্ত্রণের সঙ্গে ধর্মীয় অনুশাসনের যে কোনও সংঘাত নেই সেই বিষয়টি বোঝাতে স্থানীয় ধর্মগুরুদেরও সাহায্য চাইবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। পুরুষ ও মহিলাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে অপারেশনে এবং জেলাগুলিতে বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy