Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
2002 Riots

গোধরা: ১১ জনের ফাঁসি রদ, যাবজ্জীবন দিল গুজরাত হাইকোর্ট

ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। গুজরাত সরকারের তরফে গঠন করা হয় একাধিক কমিশনও। গোধরাকাণ্ডের তদন্তে গুজরাত সরকারের গঠিত নানাবতী-মেহতা কমিশন মত দিয়েছিল, ট্রেনে আগুন নিছক দুর্ঘটনা নয়, এর পিছনে ষড়যন্ত্রের হাত ছিল।

ফাইল ছবি।

ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৭ ১১:৪৮
Share: Save:

ফাঁসির সাজা বদলে গেল যাবজ্জীবনে।

গোধরাকাণ্ডে ১১ জনের মৃত্যুদণ্ড রদ করে দিল গুজরাত হাইকোর্ট। পরিবর্তে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করা হল। একই সঙ্গে, নিম্ন আদালত যে ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল, তাদের সেই শাস্তিই বহাল রইল। পাশাপাশি, সরবমতী এক্সপ্রেসে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যও গুজরাত সরকার ও রেলকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এ দিনের রায়ে অবশ্য নিম্ন আদালতে মুক্তিপ্রাপ্ত ৬৩ জনের ক্ষেত্রে নতুন করে কোনও নির্দেশ দেয়নি হাইকোর্ট। সোমবার এই রায় দিল বিচারপতি এএস দাভে এবং বিচারপতি জিআর উধারির ডিভিশন বেঞ্চ। সম্প্রতি এই গুজরাত হাইকোর্ট এক রায়ে জানিয়ে দিয়েছিল ২০০২ সালের সাম্প্রদায়িক হিংসা ঠেকাতে সম্ভাব্য সব চেষ্টাই করেছিলেন রাজ্যের তদানীন্তন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না বলেও রায় দিয়েছিল আদালত।

আরও পড়ুন: গুজরাত দাঙ্গায় মোদীর কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না: জানিয়ে দিল হাইকোর্ট

অগ্নিকাণ্ডের পর সবরমতী এক্সপ্রেস পরিদর্শনে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং

গুজরাতের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।— ফাইল চিত্র।

২০০২-এর ২৭ ফেব্রুয়ারি। গোধরায় সবরমতী এক্সপ্রেসে করসেবকদের পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটে। এক্সপ্রেসের এস-৬ কোচের অগ্নিকাণ্ডে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। এঁদের অধিকাংশ অযোধ্যা থেকে ফেরা করসেবক। সেই ঘটনার পরই দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে গুজরাত জুড়ে। উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নারকীয় তাণ্ডব শুরু হয় সে রাজ্যের মুসলিমদের উপর। দাঙ্গার বলি হন ১০৪৪ জন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী। তিনিও সমালোচনার মুখে পড়েন।

ঘটনার তদন্তে সুপ্রিম কোর্ট বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে। গুজরাত সরকারের তরফে গঠন করা হয় একাধিক কমিশনও। গোধরাকাণ্ডের তদন্তে গুজরাত সরকারের গঠিত নানাবতী-মেহতা কমিশন মত দিয়েছিল, ট্রেনে আগুন নিছক দুর্ঘটনা নয়, এর পিছনে ষড়যন্ত্রের হাত ছিল।

এই ঘটনার ৯ বছর পরে ২০১১-র পয়লা মার্চ ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গোধরাকাণ্ডে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের মধ্যে ১১ জনের ফাঁসির সাজা হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় ২০ জনের। মুক্তি পান অভিযুক্ত ৬৩ জন।এর মধ্যে ছিল গোধরাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বলে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেই মৌলভি উমারজির নামও। শাস্তির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দোষী সাব্যস্তরা গুজরাত হাইকোর্টে একাধিক মামলা করেন। ৬৩ জনকে বেকসুর খালাসের বিরুদ্ধেও আলাদা মামলা হয়। সব মামলা একত্র করে সোমবার তার রায় দিল গুজরাত হাইকোর্ট। ৬৩ জনকে খালাস করে দেওয়া নিম্ন আদালতের রায়কেও বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE