ছবি: সংগৃহীত।
অনুমোদন ছাড়াই সাত বছর ধরে ‘দূর ও মুক্ত শিক্ষা’র ২১টি কোর্সে ছাত্র ভর্তি করিয়ে ৩৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়। সিএজি রিপোর্টে সামনে এল এই তথ্য। যার ফলে সত্তর হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রীর ডিগ্রি-ডিপ্লোমা অবৈধ, জানা গেল।
বিধানসভায় জমা পড়া সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১০-১১ সালে ইউজিসি ও ইন্দিরা গাঁধী জাতীয় মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দূর ও মুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ (আইডল)-কে তিন বছরের জন্য ৮ পাঠ্যক্রম পড়ানোর অনুমোদন দেয়। তখনই পরিষ্কার করে বলা হয়, আটটি পাঠ্যক্রমের বাইরে অন্য কোনও কোর্স যেন পড়ানো না হয়। পরে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ওই অনুমোদনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। কিন্তু সিএজি হিসেব পরীক্ষা করে জানতে পেরেছে, ২০১০-১১ থেকে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত ওই আটটি অনুমোদিত পাঠ্যক্রমের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় ২১টি অনুমোদনহীন পড়িয়েছে, ডিগ্রি-ডিপ্লোমাও দেওয়া হয়। ৭ বছরে অনুমোদনহীন ২১টি পাঠ্যক্রমের মধ্যে ১৯টিতে ৭৩ হাজার ৯১২ জন পড়ুয়ার নাম নথিভুক্ত করা হয়। তাদের থেকে ফি বাবদ নেওয়া হয়েছে ৩৯ কোটি ৬ লক্ষ টাকা।
সিএজি রিপোর্ট বলছে, এর মধ্যেই ইউজিসির অনুমোদন নবীকরণের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় ‘মিথ্যা শপথনামা’ দাখিল করে জানায়, তারা অনুমোদিত আটটি পাঠ্যক্রমের বাইরে অন্য কিছু পড়াচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, অনুমোদন মিলবে এই আশাতেই পাঠ্যক্রম শুরু করা হয়। ২০১৭-র অক্টোবর ও ২০১৮-র ডিসেম্বরে ইউজিসির কাছে অনুমোদনের আবেদনও জানানো হয়। কিন্তু অনুমোদন না মেলায় সেগুলি বন্ধ করা হয়। ইউজিসি জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কাছে অনুমোদিত পাঠ্যক্রমের বাইরে অন্য পাঠ্যক্রম পড়ানোর ব্যাপারে কোনও আবেদনই করেনি।
উপাচার্য প্রতাপজ্যোতি সন্দিকৈ বলেন, ‘‘রিপোর্ট সত্যি হলে ওই কোর্সগুলির ডিগ্রিধারী সত্তর হাজারের বেশি পড়ুয়া বিপদে পড়বেন। তাঁদের বিষয়টি মানবিকতার সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এ নিয়ে তদন্তের জন্য সাত জনের কমিটি তৈরি করেছি। আগামী কাল থেকে তাঁরা কাজ শুরু করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy