সুস্থ জীবনের স্বার্থে প্রত্যেক বঙ্গভাষীকে রবীন্দ্ররচনা পাঠ করার আহ্বান জানানো হল হাইলাকান্দিতে। বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবসে এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বক্তা মানবজীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে রবীন্দ্রনাথের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। জীবনের কোনও সমস্যার সমাধানে রবীন্দ্র-সাহিত্য গুতুত্বপূর্ণ বলে মতপ্রকাশ করেন বিদ্বজ্জনরা।
আজ গান-কথা-কবিতায় বিশ্বকবিকে স্মরণ করেন হাইলাকান্দিবাসী। বিভিন্ন সংগঠনে এ দিন সকাল থেকেই ছিল কবি-স্মরণ অনুষ্ঠান। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন শহরের রবীন্দ্র ভবন গ্রন্থাগারে বিশ্বকবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন আয়োজকরা। সংস্থার জেলা সভাপতি হীরকজ্যোতি চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন গার্গী দেব। পরে এক আলোচনাসভায় রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুভাবনার দিক নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আনন্দে জীবন অতিবাহিত করার পরামর্শ দেন মানিক চক্রবর্তী। কবি হরনাথ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ আপামর বাঙ্গালির কাছে ঈশ্বরস্বরূপ ছিলেন।’’ কবি সুশান্তমোহন চট্টোপাধ্যায়, বরাক বঙ্গের কর্তা সুকোমল পাল, দেবদাস পুরকায়স্থ, সলিল পুরকায়স্থ, মাধবী শর্মা, পূরবী মিশ্র দেবনাথও রবীন্দ্রনাথের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, ‘‘রবীন্দ্রনাথ জাতির মুক্তি ও কৃষকদের উন্নয়নের কথাও ভাবতেন।’’ এ দিনের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত, কবিতা পরিবেশন করেন গায়ত্রী দেব, মনাসিনা মিশ্র দেবনাথ, পূর্ণিমা দে, শ্রাবণী চক্রবর্তী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy