Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
National news

গোশালা নির্মাণে ‘স্বেচ্ছা অনুদান’ দিক সরকারি কর্মীরা, নিদান হরিয়ানা সরকারের

রাজ্যের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো গরুগুলোর দেখভালে গো-শালা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকার। এই গোশালাগুলির নির্মাণেই ‘স্বেচ্ছা অনুদান’-এর নিদান দিল মনোহরলাল খট্টরের সরকার।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০১৭ ১২:৩২
Share: Save:

গো-রক্ষার নামে দেশের বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন এবং গোমাংস ভক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরের মধ্যে হরিয়ানা সরকারের একটি নিদান যেন বিতর্কের আগুনে আরও ঘি ঢালল। গোশালা নির্মাণে ‘স্বেচ্ছা’য় দান করুন— রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারীর কাছে এমনই আর্জি জানিয়েছে হরিয়ানা সরকার। আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে রাজ্যের রাস্তাগুলোকে গো-মুক্ত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে সরকারি সূত্রে খবর।

রাজ্যের যত্রতত্র ঘুরে বেড়ানো গরুগুলোর দেখভালে গো-শালা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি শাসিত হরিয়ানা সরকার। এই গোশালাগুলির নির্মাণেই ‘স্বেচ্ছা অনুদান’-এর নিদান দিল মনোহরলাল খট্টরের সরকার। পাশাপাশি বলা হয়েছে, জোর করে নয়, কর্মীরা নিজেদের ক্ষমতা অনুযায়ী অর্থ দান করতে পারবেন। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডেপুটি কমিশনাররা জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে এ ব্যাপারে একটা বিশেষ বৈঠকও করেছেন। সেই বৈঠকে জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের বলা হয় গোশালা নির্মাণের জন্য জেলাগুলিতে ‘স্বেচ্ছা অনুদান’-এর ব্যবস্থা করতে হবে।

আরও পড়ুন: বাইবেলে সিদ্ধ গোমাংস, দাবি মিজো বিজেপির

কোনও কোনও জেলা তো আবার নোটিস জারি করে কোন ব্যাঙ্কে কর্মীরা ‘স্বেচ্ছা অনুদান’ জমা দেবেন তা-ও জানিয়ে দিয়েছে। আবার বেশ কিছু জেলা থেকে এমনও প্রস্তাব এসেছে, অনুদানের এই টাকা কর্মীদের বেতন থেকেই কেটে নেওয়া হোক! অভিযোগ উঠেছে, হিসারের অ্যা়ডিশনাল ডেপুটি কমিশনার এ এস মান নাকি জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন, কারা অনুদানের অর্থ দিচ্ছেন, কারা দিচ্ছেন না সেটাও যেন রেকর্ডে রাখা হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে মান জানান, তিনি ‘স্বেচ্ছা দান’-এর কথাই বলেছেন।

সরকারের এমন সিদ্ধান্তে এরই মধ্যে বেশ কিছু দফতর থেকে বিরোধিতা শুরু হয়ে দিয়েছে। ভওয়ানি জেলার শিক্ষা দফতরের কর্মীরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার পাশাপাশি অনুদান দিতেও অস্বীকার করেছেন। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রকের স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি সন্দীপ সাঙ্গওয়ান আরও এক ধাপ এগিয়ে জানান, স্বেচ্ছা অনুদান হলেও কর্মীরা ডেপুটি কমিশনারের এই নির্দেশকে অমান্য করতে পারেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE