Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Hathras Case

হাথরস কাণ্ড: নয়া দাবি অভিযুক্তের 

এই চিঠিতে তার ও অন্য সঙ্গীদের বিচার চেয়েছে সন্দীপ। তার অভিযোগ, গ্রামের মেয়ে হিসেবে নির্যাতিতার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। ‘কখনও সখনও’ ফোনে কথাও হয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা 
হাথরস শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৫৩
Share: Save:

প্রথমে প্রমাণ করার চেষ্টা হচ্ছিল নির্যাতিতা ধর্ষিতাই হয়নি। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে চলে আসে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে নির্যাতিতার মায়ের বয়ান এবং মৃত্যুর আগে হাসপাতাল থেকে দেওয়া নির্যাতিতার বক্তব্য। এর পরে শাসক বিজেপির নেতারা তাঁদের প্রচারযন্ত্রের মাধ্যমে প্রমাণের চেষ্টা করেন, নির্যাতিতার চরিত্রের দোষ ছিল।

তবে সেই তত্ত্বও মানুষ নিচ্ছে না দেখে ফাঁদা হয়েছে নতুন কাহিনি। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার হওয়া উচ্চবর্ণের চার দুষ্কৃতী এ দিন পুলিশের এসপি-র কাছে চিঠি লিখে দাবি করেছে, তাদের ফাঁসানো হয়েছে। দলিত মেয়েটি তাদের পরিচিতা ছিলেন। পরিবারই খুন করে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে হাথরসের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে যোগী আদিত্যনাথের সরকার কতটা আগ্রহী, তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠে গেল। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা টুইটে বলেন, ‘নির্যাতিতার খুনের বিচার হোক, তাঁর চরিত্রহনন নয়।

আরও পড়ুন: দলিত-মুসলিম ভোট ভাগ করতে নয়া জোট

খুনের জন্য তাঁকে ও তার পরিবারকে দায়ী করার চেষ্টা হচ্ছে, যা নিন্দনীয়।’ মানবাধিকার কর্মী তিস্তা শেতলবাড়ের সংগঠন ‘সিটিজেনস ফর জাস্টিস অ্যান্ড পিস’ হাথরসের ঘটনার তদন্তে সিট বা সিবিআইয়ের সহযোগী হতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।

আরও পড়ুন: টিকা রাখতে খোঁজ কোল্ড স্টোরেজের

হাথরসে দলিত তরুণীর নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় সরকার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেও বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট-এর মেয়াদও সাত দিনের পরে আরও দশ দিন বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যেই পুলিশ বিষয়টি নিয়ে নানা রকম কথাবার্তা বলে ঘটনা লঘু করে দেখাতে চাইছে। বুধবারই পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, প্রধান অভিযুক্ত সন্দীপ ঠাকুরের মোবাইল ফোনের কল লিস্ট যাচাই করে দেখা গিয়েছে, সম্প্রতি তার সঙ্গে নির্যাতিতার ভাইয়ের ১০৪ বার কথাবার্তা হয়েছে। এর পরই জেল থেকে এসপির উদ্দেশে সন্দীপের হাতে লেখা একটি চিঠি এ দিন প্রকাশ করা হয়, যাতে বাকি অভিযুক্তদেরও আঙুলের ছাপ রয়েছে।

আরও পড়ুন: মোদীকে নিশালা রাহুলের

এই চিঠিতে তার ও অন্য সঙ্গীদের বিচার চেয়েছে সন্দীপ। তার অভিযোগ, গ্রামের মেয়ে হিসেবে নির্যাতিতার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। ‘কখনও সখনও’ ফোনে কথাও হয়েছে। কিন্তু মেয়েটির পরিবার তাদের এই বন্ধুত্ব মানত না। তারা মেয়েটিকে গঞ্জনা দিত। সে দিনও তারা কথা বলার সময়ে মেয়েটির মা এবং অন্যরা চলে আসায় সন্দীপ বাড়ি ফিরে গরু-মোষকে খাওয়াতে লেগে যায়। তখনই শোনে, বাড়ির লোক মেয়েটিকে অত্যাচার ও মারধর করছে। এর পরে মেয়েটির প্রাণ সংশয় দেখা গেলে সন্দীপ ও তার বন্ধুদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে মেয়েটির পরিবার। নির্যাতিতার বাবা অবশ্য অভিযুক্তের চিঠির এই বয়ান শুনে আকাশ থেকে পড়েছেন। বলেছেন, সব মিথ্যা কথা। মেয়ে খুনের বিচার চাওয়ায় এখন তাঁদেরই খুনি প্রমাণের চেষ্টা হচ্ছে। আলিগড় জেলের সুপার জানিয়েছেন, বুধবার সন্ধ্যায় সন্দীপ এই চিঠিটি হাথরসের পুলিশ সুপারের কাছে পাঠায়। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সন্দীপের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।

নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার পথে গত সোমবার কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিক কাপ্পান ও তাঁর তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। প্রতিবাদে আগামী কাল কেরলের ১৪টি জেলার সদর দফতরে প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছেন সাংবাদিকেরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hathras Rape Case Uttarpradesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE