নরেন্দ্র মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক স্তরের ডিগ্রি নিয়ে মামলা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে সওয়াল করবেন কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা। তাই গোটা রাজধানীরই চোখ ছিল দিল্লি হাইকোর্টের দিকে।
কিন্তু মামলা ওঠার আগেই তুষার মেটা দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি বিভু বাকরুকে অনুরোধ জানালেন, তাঁর একটু অসুবিধা রয়েছে। আজ তাঁর পক্ষে সওয়াল করা মুশকিল। কারণ, জরুরি কাজে এখনই তাঁকে দিল্লির বাইরে যেতে হবে। বিচারপতি বাকরু সম্মতি জানিয়ে দিলেন। মামলার শুনানি হল না। জমাটি নাটক দেখতে ভিড়টাও হালকা হয়ে গেল বিচারপতি বাকরুর এজলাসে।
কেন এই মামলা ঘিরে এত আগ্রহ? নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদী দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিরাগত ছাত্র হিসেবে ১৯৭৮-এ তৃতীয় ডিভিশিনে বিএ পাশ করেন। ১৯৮৩-তে গুজরাত থেকে প্রথম ডিভিশনে এমএ পাশ করেন। তথ্যের অধিকার আইনে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে মোদীর ডিগ্রির নথি প্রকাশের আর্জি জানানো হয়। মুখ্য তথ্য কমিশনার বিশ্ববিদ্যালয়কে তা প্রকাশের নির্দেশ দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় তাতে আপত্তি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালের অভিযোগ ছিল, প্রধানমন্ত্রীই প্রভাব খাটাচ্ছেন।
বিতর্ক ধামাচাপা দিতে দু’বছর আগে অরুণ জেটলি ও অমিত শাহ মোদীর ডিগ্রি দেখিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও আম আদমি পার্টি অভিযোগ তোলে, মোদীর মার্কশিট ও ডিগ্রির শংসাপত্রে দু’রকম নাম রয়েছে। মার্কশিট ১৯৭৭ সালের, ডিগ্রি ১৯৭৮-এর। বিজেপির যুক্তি ছিল, মোদী ১৯৭৭-এ পরীক্ষায় ফেল করেন। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় ১৯৭৮-এ পাশ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আপত্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অঞ্জলি ভরদ্বাজ, নিখিল দে, অমৃতা জোহরি-র মতো তথ্যের অধিকার আন্দোলনকারীরা হাইকোর্টে এসেছিলেন। হাইকোর্ট তারই জবাব চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে মেটা সওয়াল না করায় গোটা শুনানিটাই পিছিয়ে গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy