Hillary Clinton Shares an inspiring story of Indian woman on her Instagram dgtl
National news
অম্বানী-কন্যার বিয়েতে এসে এই মহিলাদের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন হিলারি!
তাঁর সঙ্গে দেখা করে আপ্লুত হিলারি ক্লিন্টন নিজের ফেসবুক পেজে ২৩ বছর আগের সেই গল্প শেয়ার করেছেন।
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ওই মহিলাদের সঙ্গে হিরালি ক্লিন্টন। ছবি তাঁর ফেসবুক পোস্ট থেকে নেওয়া।
সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লিশেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:০৩
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
মুকেশ অম্বানীর মেয়ের বিয়েতে যোগ দিতে এসে ২৩ বছর আগের ভারতীয় এক মহিলার কথা শেয়ার করলেন প্রাক্তন বিদেশ সচিব এবং প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিন্টন। যিনি কয়েক লক্ষ মহিলার প্রেরণা। তাঁর সঙ্গে দেখা করে আপ্লুত হিলারি ক্লিন্টন নিজের ইনস্টাগ্রামে ২৩ বছর আগের সেই গল্প শেয়ার করেছেন।
১৯৯৫ সাল। আজ থেকে ২৩ বছর আগে একবার ভারতে এসেছিলেন হিলারি। তখন গুজরাতে সেওয়া নামে একটি স্বনির্ভর মহিলা গোষ্ঠীর কর্ণধার ইলা ভট্টের সঙ্গে দেখা হয়। কম সুদে অল্প অল্প ঋণ দিয়ে মহিলাদের স্বনির্ভর হয়ে উঠতে সাহায্য করে ওই গোষ্ঠী সেওয়া। ইলার থেকে হিলারি জানতে পারেন ১৯৭২ সালে ওই গোষ্ঠী তৈরি করেছিলেন। তখন সদস্যও খুব কম ছিল। তারপর নিজের চেষ্টায় মহিলাদের বুঝিয়ে স্বনির্ভর হওয়ার রাস্তায় আনতে পেরেছিলেন। ১৯৯৫ সালে যখন তাঁর ইলার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, গোষ্ঠীর সদস্য ছিল মাত্র ১৪,০০০। তাঁদের কেউ খুব দরিদ্র পরিবারে জন্ম। বিয়েটা কারও কাছে অভিশাপের মতো ছিল।
হিলারি তাঁর পোস্টে জানান, এই স্বনির্ভর গোষ্ঠী তাঁদের শুধু অর্থ উপার্জন করতেই সাহায্য করেনি, তাঁদের নানা ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দিয়েও সাহায্য করেছে। এক এক করে সেই সমস্ত মহিলা সদস্য নিজেদের জীবনের কাহিনি ক্লিন্টনকে শুনিয়ে ছিলেন। শেষে একসঙ্গে সমবেত কণ্ঠে গুজরাতি ভাষায় ‘উই শ্যাল ওভার কম’ গানটি গেয়ে শুনিয়েছিলেন।
২০০৯ সালে আবারও ভারতে এসে ইলা এবং ওই গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তখন সদস্য সংখ্যাও অনেক বেড়ে গিয়েছিল। আর এ বার ২০১৮ সালে অম্বানী-কন্যার বিয়েতে এসে ইলার এবং তাঁর গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাননি হিলারি। তাঁর পোস্টে লিখেছেন, এখন ওই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা কয়েক লক্ষ। এবারেও কথাবার্তার শেষে ওই একই গান গেয়ে শুনিয়েছেন তাঁরা।
পোস্টের শেষে ক্লিন্টন লিখেছেন, ‘প্রত্যেক মানুষেরই নিজের স্বপ্ন পূরণের সুযোগটা কাজে লাগানো উচিত। তাঁরা গরীব না ধনী, কারখানার শ্রমিক নাকি রাস্তায় কাজ করে জীবিকানির্বাহ করেন, আমার কাছে সেগুলোর কোনও মূল্য নেই। এঁদের দেখে আমি ভীষণ অনুপ্রাণিত, আগামিদিনে তাঁরা আরও সফল হোক সেটাই দেখতে চাই।’