প্রতীকী ছবি।
চিকিত্সার জন্য মেয়েকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তামিলনাড়ুর সালেমের বাসিন্দা শক্তি। কিন্তু সেই হাসপাতালই সবার অলক্ষ্যে বাড়ির দরজায় ফেলে রেখে গেল মেয়েটির মৃতদেহ! দরজার সামনে পড়ে থাকা মেয়ের নিথর দেহ দেখে ভাষা হারিয়েছিলেন শক্তি ও তাঁর স্ত্রী।
ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছিল?
আরও পড়ুন: প্রেমিকার খুনিই এখন স্কুলের প্রিয় মাস্টারমশাই
পুলিশ জানিয়েছে, ওজন কমানোর চিকিত্সার জন্য মেয়ে ভাগ্যশ্রীকে (১৭) তাঁরই পরিচিত একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেছিলেন শক্তি। আর পাঁচ জনের মতো ভরসা রেখেছিলেন চিকিত্সকদের উপরেই। মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন শক্তি ও তাঁর স্ত্রী। সেখানে গিয়েও মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, তাঁদের মেয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, ওই ফোন আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়ির ঠিকানা চেয়ে ফের একটি ফোন আসে হাসপাতাল থেকে। বাড়ির ঠিকানা কেন চাওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে হাসপাতাল থেকে কোনও উত্তরই দেওয়া হয়নি বলে পুলিশকে জানান শক্তি। তিনি বলেন, “আমি হাসপাতালকে ঠিকানা দিই। বাড়ি ফিরে দেখি মেয়ের দেহ দরজার সামনে শুইয়ে রাখা হয়েছে।” বাড়ির সামনে মেয়ের দেহ দেখে হতবাক হয়ে যান শক্তি ও তাঁর স্ত্রী। মেয়ে বেঁচে নেই বুঝেও শেষ চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কোয়ম্বত্তূর সরকারি হাসপাতালে মেয়েকে নিয়ে পৌঁছলে চিকিত্সকরা ভাগ্যশ্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কিন্তু হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই তাঁর মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy