যোগেন্দ্র যাদব। ফাইল চিত্র।
ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে পঞ্জাবে প্রচারে নেমেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় পাশের রাজ্য হরিয়ানায় গত কাল থেকে কৃষকদের নিয়ে পদযাত্রা শুরু করেছেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদব। দু’পক্ষের চাপানউতোরের মধ্যেই আজ বিজেপি শাসিত হরিয়ানার রেওয়াড়ীতে তাঁর বোনের নার্সিংহোমে হানা দেন শতাধিক আয়কর অফিসার।
সেন্ট্রাল বোর্ড অব ডিরেক্ট ট্যাক্সের মুখপাত্র সুরভি অহলুওয়ালিয়া জানাচ্ছেন, নগদ প্রায় ২২ লক্ষ টাকা ও হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির প্রমাণ মিলেছে। ওই পরিবারের লোকজন নীরব মোদীর কাছ থেকে গয়না কিনে তার আংশিক দাম নগদে মিটিয়েছেন— তারও প্রমাণ মিলেছে। যোগেন্দ্রর কথায়, ‘‘পদযাত্রা থামাতেই এই আয়কর হানা। এ হল মোদী সরকারের প্রতিহিংসার রাজনীতি।’’ আর কংগ্রেসের বক্তব্য, দেশে যে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চালু রয়েছে ফের তা প্রমাণ হল আজ।
১৪টি খরিফ শস্যের সহায়ক মূল্য বাড়ানো নিয়ে সরকার প্রচারের সুর চড়ানোর পরিকল্পনা নিলে কী হবে তাতে জল ঢেলেছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ এম এস স্বামীনাথন। তাঁর মতে, সরকার ঘোষিত সহায়ক মূল্য আদৌও যথেষ্ট নয়। আরও বেশি সহায়ক মূল্যের দাবিতে যোগেন্দ্র শুরু করেছেন ৯ দিনের পদযাত্রা। ক্ষুব্ধ যোগেন্দ্রর কথায়, ‘‘সরকারের সমালোচনায় সরব হওয়ায় আমাকে নিশানা বানানো হয়েছে। কারণ কৃষকরাই সবচেয়ে উদ্বেগে রেখেছে মোদীকে। দরকারে আমার বাড়িতে তল্লাশি চালাক। পরিবারের লোকেদের কেন হেনস্থা করা হচ্ছে? ’’
যোগেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। হরিয়ানা কংগ্রেসের নেতা দীপেন্দ্র হুডা বলেছেন, ‘‘অনভিপ্রেত ঘটনা।’’ দিল্লিতে কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে।’’ হরিয়ানার বিজেপি নেতা জহওর যাদব বলেন, ‘‘আয়কর দফতর তাদের কাজ করছে। এর সঙ্গে যোগেন্দ্রর যাত্রার সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy