সৌহার্দ-বার্তা: ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ঢুকছেন সিধু। এপি
পাকিস্তানি সেনাপ্রধান কমর বাজওয়াকে আলিঙ্গন করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নভজ্যোত সিংহ সিধু। করতারপুর সাহিব করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে আজ সিধু জানিয়ে দিলেন, এক সেকেন্ডের আলিঙ্গন রাফাল চুক্তি নয় যে তা নিয়ে হইচই করতে হবে। বরং করতারপুর সাহিব করিডর দু’দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। এরই মধ্যে পাকিস্তানি বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাবে ইমরান খান সরকার।
ইমরানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দেশে ফিরে সিধু জানান, বাজওয়া তাঁকে করতারপুর সাহিব করিডর খোলার কথা জানিয়েছেন। এর পরেই বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেন তিনি। এ নিয়ে বিজেপি, এমনকি কংগ্রেসেরও কিছু নেতার সমালোচনার মুখে পড়েন সিধু।
কিন্তু পাকিস্তান শিখ পুণ্যার্থীদের করতারপুর সাহিবে যেতে ভিসামুক্ত করিডর খুলে দেওয়ার পরে পাল্টা সদর্থক বার্তা দিতে হয়েছে ভারতকেও। বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ না গেলেও কাল করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ২৬/১১ হামলার বার্ষিকীর আগে করতারপুর কূটনীতির মাধ্যমে ইমরান কিছুটা হলেও সংঘাতের পরিস্থিতি বদলে দিতে পেরেছেন বলে মানছেন কূটনীতিকেরা। এই পরিস্থিতিতে আজ লাহৌরে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা বিজেপিকে কটাক্ষ করেছেন সিধু। তিনি বলেন, ‘‘পঞ্জাবিরা দেখা হলে এমন আলিঙ্গন করেই থাকেন।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার আমার পাকিস্তান সফর নিয়ে কোনও আপত্তি করেনি। আমি শান্তির দূত হয়ে এসেছি।’’ করতারপুর করিডর নিয়ে এ দিন ইমরান খানের প্রশংসা করে সিধু বলেন, ‘‘করতারপুর করিডরের মতো উদ্যোগের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উন্নতির প্রচুর সুযোগ রয়েছে।’’
এ দিনই পাক বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, সে দেশে সার্ক শীর্ষ সম্মেলনে নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানাবে পাক সরকার। ২০১৬ সালে জঙ্গি হামলার জেরে পাকিস্তানে সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বয়কট করেছিল ভারত। করতারপুর কূটনীতির মাধ্যমে তৈরি আবহে পাকিস্তান আরও সদর্থক বার্তা দিতে চাইছে বলে মত কূটনীতিকদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy